মিয়ানমারে আশ্রয় শিবিরে গোলার আঘাতে নিহত ২৯

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি: বিবিসি

মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুতদের একটি শিবিরে গোলা হামলায় শিশুসহ অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন। প্রাণ হারানো সবাই বেসামরিক নাগরিক বলে জানিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি (কেআইএ)। খবর বিবিসি।

আশ্রয় শিবিরটি ক্ষমতাসীন জান্তাদের সঙ্গে লড়াইরত কেআইএ-এর একটি সামরিক ক্যাম্পের কাছে অবস্থিত।

লাইজা শহরে কেআইএর সদর দপ্তর থেকে প্রায় দুই মাইল দূরের ওই শিবিরে গতকাল সোমবার (৯ অক্টোবর) গভীর রাতে হামলা হয়। স্থানটি চীনা সীমান্তের কাছে।

ওই এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা নতুন নয়। তবে স্থানীয়রা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে শিবিরের কাছে এমন কিছু ঘটেনি।

২০২১ সালে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দেয় সামরিক অভ্যুত্থান। এরপর দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষে হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর হারায়।

এদিকে নির্বাসিত জাতীয় ঐক্য সরকার এনইউজি আশ্রয় শিবিরে হামলার জন্য জান্তাকে দায়ী করেছে। তারা এ ঘটনাকে ‘যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসামরিক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ক্ষমতা দখলের পর থেকে সামরিক বাহিনী বিরোধীদের দমনে বিমান হামলা বাড়াচ্ছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ সরানো হচ্ছে। কয়েক ডজন বডি ব্যাগ পাশাপাশি পড়ে আছে।

কয়েক ডজন বড় জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে কেআইএ অন্যতম। অভ্যুত্থানের কয়েক দশক আগে থেকেই সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে তারা।

কেআইএ-এর কর্নেল নাও বু জানান, সর্বশেষ এ হামলায় ৫৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের ৪৪ জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

গত বছর অক্টোবরে কাচিন রাজ্যের আন্তপাতে বিমান হামলায় ৬০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন