গাজা থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের
দাবি করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। আরো জানানো হয়, এ তিনজনকে ৭ অক্টোবর
ইসরায়েলে হামাসের হামলার ঘটনায় হত্যা করা হয়েছিল। পরে তাদের দেহাবশেষ গাজায় নিয়ে
যাওয়া হয়। খবর বিবিসি।
মৃত ব্যক্তিদের নাম শনি লুক, অমিত বুস্কিলা
ও ইতজাক গেলেরেন্টার। ইসরায়েলি স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, হামাসের একটি সুড়ঙ্গে
মৃতদেহগুলো পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন
নেতানিয়াহু এ খবরকে ‘হৃদয় বিদারক’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘জিম্মি, জীবিত ও
মৃত সবাইকে আমরা একইভাবে ফিরিয়ে নেয়া হবে।’
এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানিয়েছে, রাতভর
অভিযান চালিয়ে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। গাজায় আটক করা ‘সন্ত্রাসীদের’ জিজ্ঞাসাবাদ
থেকে এসব তথ্য পেয়েছে বলে দাবি বাহিনীটির।
আরো বলা হয়েছে, মৃতদেহগুলো গাজায় নিয়ে
যাওয়ার আগে দক্ষিণ ইসরায়েলের এক অনুষ্ঠানে তাদের হত্যা করা হয়। ওই অনুষ্ঠানস্থলে
৩৬০ জনেরও বেশি বিদেশীসহ ইসরায়েলি নিহত হন। এছাড়া প্রায় ১২৫ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে
নিয়ে যাওয়া হয়।
গত বছরের নভেম্বরে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির
বিনিময়ে ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। অন্যদিকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পান
২৪০ জন ফিলিস্তিনি।
আরেকটি যুদ্ধবিরতি এবং আরো জিম্মি মুক্তির
লক্ষ্যে কায়রোতে দীর্ঘদিন ধরে চলমান আলোচনা বর্তমানে স্থগিত রয়েছে।
হামাসের বন্দুকধারীদের নজিরবিহীন হামলায়
৭ অক্টোবর প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন। এছাড়ার ২৫২ জনকে জিম্মি করে গাজায়
নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিন ফিলিস্তিনিরা নিহত হচ্ছেন।
বর্তমানে এ সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া আহত ও নিখোঁজ রয়েছেন হাজার হাজার।
জাতিসংঘ বলছে, প্রায় ২২ লাখ ফিলিস্তিনি
দীর্ঘস্থায়ী খাদ্য সংকটের পড়েছে। তাদের জন্য আশ্রয় ও অন্যান্য সহায়তার জরুরি প্রয়োজন।