বাজেটে শ্রমিকের জন্য রেশনিং বরাদ্দের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন

আসন্ন জাতীয় বাজেটে তৈরি পোশাক শিল্প খাতের শ্রমিকের জন্য রেশনিং বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। শনিবার (১৮ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘শ্রমিকদের জন্য কেমন বাজেট চাই’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবি জানান তারা। গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন।

বৈঠকে সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, বাজেটে শ্রমিকদের রেশনিং, চিকিৎসা ও আবাসন ব্যবস্থার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া দরকার। বিজিএমইএ, বিকেএমইএর অনেক সাবেক সভাপতি এখন সংসদ সদস্য, তাদেরকেও এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে সংসদে কথা বলা উচিত। মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা সংসদে রেশনিং, চিকিৎসা ও আবাসন ব্যবস্থা বিষয়ে মতবিনিময় করলে সংসদে উপস্থাপন করা সহজ হবে। এবারের সংসদ অধিবেশনে আমি এ বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরব।

লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান ইসমাইল বলেন, জাতীয় বাজেটে শিল্প, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা ইত্যাদি বাজেট থাকলেও আলাদাভাবে শ্রমিকের জন্য কোনো বাজেট বরাদ্দের খাত নেই। রেশনিং ব্যবস্থা চালুর জন্য গার্মেন্টস জিডিপির এ উন্নয়নের সুফল শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন বা অগ্রগতি ঘটায়নি। ব্যাপকভাবে বেড়েছে আয়, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সম্পদ ও খাদ্য বৈষম্য।

বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বিশ্ববাজারে গার্মেন্টস শিল্পকে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা এবং টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা দরকার। এতে শ্রমিক, মালিক ও জাতি সবাই উপকৃত হবে।

বিজিএমইএর সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন বলেন, প্রতিযোগী দেশগুলো শিল্প ব্যবস্থা অগ্রগতির সহায়ক পলিসি বা নীতিমালা দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে শিল্প ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সেরকম সহায়ক পলিসি না পাওয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ। জাতীয় বাজেটে রেশনিংয়ের মাধ্যমে শ্রমিকের জন্য চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য প্রদান করা হলে শ্রমিক পরিবারে খাদ্য নিশ্চয়তা আসবে এবং শিল্পের অস্থিরতাও কমে আসবে। এতে করে ক্রেতাদের জন্য সহায়ক কর্মপরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং ক্রয়াদেশ আরো বৃদ্ধি পাবে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আগে শুনতাম শিল্প বাঁচলে শ্রমিক বাঁচবে, এখন দেখতে পাচ্ছি শিল্প বেঁচে আছে কিন্তু শ্রমিকরাই বেঁচে থাকতে পারছে না। এখন শ্রমিক বাঁচলে, শিল্প বাঁচবে—এ বক্তব্য তুলে ধরতে হবে। জিডিপিতে যাদের সবচেয়ে বেশি অবদান, সে শ্রমিকদের পেছনে রেখে বাজেট হতে পারে না।

গোলটেবিল বৈঠকে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারাও বক্তব্য রাখেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন