উন্নয়নের সুফল পেতে একাত্মতা জরুরি —স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘উন্নয়নের সুফল পেতে জনপ্রতিনিধি ও আমলাদের একাত্মতা জরুরি। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সমন্বয় না থাকলে কর্মক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি হয়,৷ যা কখনো দেশের উন্নয়নে সুফল বয়ে আনবে না। আমাদের দারিদ্র‍্যের হার তো একসময় ২৫ শতাংশ ছিল। এখন সেটা ১৮ শতাংশ, অতিদারিদ্র‍্যের হার এখন ৫ শতাংশে নেমে এসেছে৷। এ অর্জন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কাজ করতে গেলে পারস্পরিক সহযোগিতা থাকলে কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকলে অগ্রগতি থামিয়ে রাখা যায় না।’

গতকাল সকালে আগারগাঁওয়ে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের জেলা রিসোর্স টিমের (ডিআরটি) প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে উপস্থিত সুধীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি।

স্থানীয় সরকারের সত্তাগুলোকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়ে মন্ত্রী দক্ষিণ কোরিয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘আজকে যে দক্ষিণ কোরিয়াকে আমরা দেখি, এটি আগে এমন ছিল না। এদের অতীতে তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল। তাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ছিল না। যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল ভঙ্গুর। শুধু তা-ই নয়, মানবিক প্রয়োজনীয়তার সব উপাদান ছিল অনুপস্থিত। কিন্তু পার্ক চুং হি যখন ক্ষমতায় আসেন, তিনি জনগণের সঙ্গে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। সাহসিকতার সঙ্গে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে দেশের সব মানুষকে একটি বিনিসুতোয় বাঁধেন।৷ স্থানীয় সরকারের সত্তাগুলোকে শক্তিশালী করেন। আজকে দক্ষিণ কোরিয়া অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ। আমাদেরও তাদের থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’ আমাদের গ্রামের কৃষক বা জনপ্রতিনিধির পর্যাপ্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা নাও থাকতে পারে, কিন্তু তাকে উপেক্ষা করা যাবে না।৷ একক প্রচেষ্টায় কখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি।’

জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মনোজ কুমার রায়ের সভাপতিত্বে ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এনপিডি) মোহা. শের আলী, ইউএনডিপি বাংলাদেশের উপ-আবাসিক প্রতিনিধি সোনালী দয়ারত্নেসহ আরো অনেকে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন