![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_386050_1.jpg?t=1718896795)
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ডে অন্যতম সন্দেহভাজন মো. সিয়াম হোসেন নেপালে আটক হয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও দেশে গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই করতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল কাঠমান্ডু গেছেন। গতকাল সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নেপালের উদ্দেশে যাত্রা করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে তদন্তকারী দল।
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ডে অন্যতম সন্দেহভাজন মো. সিয়াম হোসেন নেপালে আটক হয়েছেন—এ তথ্যের ভিত্তিতে নেপাল যাচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি দেশ থেকে অপরাধ করে বহু শীর্ষ সন্ত্রাসী কাঠমান্ডুতে অবস্থান নিয়েছেন। এমনইভাবে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে হত্যার পর মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন এবং সহযোগী সিয়াম কাঠমান্ডুতে অবস্থান নেন। সেখান থেকে তাদের গন্তব্য সম্পর্কে জানতে যাচ্ছি। পাশাপাশি নেপালের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমাদের একটা কোলাবরেশনের সুযোগও তৈরি হবে এ সফরে।’
তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, কাঠমান্ডুতে আটক সিয়ামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে। তিনি আক্তারুজ্জামানের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। সিয়ামকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য এরই মধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক যোগাযোগ শুরু হয়েছে। তারা নেপালে সিয়ামের আটকের বিষয়টি অনানুষ্ঠানিকভাবে জেনেছেন। চাঞ্চল্যকর এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামি শিমুল ভূঁইয়াসহ তিনজন ঢাকায় গ্রেফতার হয়ে রিমান্ডে আছেন। তাদের কাছ থেকে তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সিয়াম হোসেনকে দেশে ফেরানোর লক্ষ্যে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এমপি আজীমের মরদেহ উদ্ধারে ভারতে কয়েক দিনের সফর শেষে দেশে ফিরে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছিলেন, গত ১৩ মে কলকাতায় আনোয়ারুল আজীমকে হত্যার পর লাশ গুম করার ক্ষেত্রে সিয়ামও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এরপর তিনি কলকাতা থেকে নেপাল চলে যান। এ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে পুলিশ যে আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীনের কথা বলছে, তিনিও ২০ মে ঢাকা থেকে দিল্লি হয়ে কাঠমান্ডু যান। পরে সেখান থেকে দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
আনোয়ারুল আজীমকে খুনের ঘটনায় ভারতের কলকাতার নিউ টাউন থানায় সেখানকার পুলিশ একটি মামলা করেছে। আবার ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন আনোয়ারুলের ছোট মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস। পারস্পরিক তথ্য বিনিময়ের মধ্য দিয়ে ডিবি ও কলকাতা পুলিশ মামলার তদন্ত করছে। এ ঘটনায় ঢাকায় তিনজন এবং কলকাতায় একজন গ্রেফতার হয়েছে। এ অবস্থায় আটক সিয়ামের বিষয়ে নেপালের সঙ্গে কলকাতা পুলিশও যোগাযোগ রাখছে বলে কাঠমান্ডুর একটি সূত্র থেকে জানা গেছে।