রিখটার স্কেলে ৪.২ মাত্রার ভূমিকম্প উৎপত্তিস্থল ঢাকার কাছেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আবারো ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে এবং এ নিয়ে চলতি মাসেই মোট তিনটি ভূমিকম্প অনুভূত হলো দেশে। ঢাকায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল দুপুর ১২টা ৪৯ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ২। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৫৯ কিলোমিটার দূরে উত্তর-পশ্চিমে টাঙ্গাইলের একটি এলাকায়।

যদিও উৎপত্তিস্থল নিয়ে বিভ্রান্তিও রয়েছে। কারণ মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর ঘোড়াশাল এলাকায়। আবার ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের তথ্যে বলা হয়েছে, এর উৎপত্তিস্থল টাঙ্গাইল। কিন্তু দুটো উৎপত্তিস্থল যেখানেই বলা হোক, উভয় স্থানই রাজধানী ঢাকার কাছে রয়েছে।

তবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা জানান, অক্ষাংশ ২৪ দশমিক ২২ ডিগ্রি উত্তর ও ৯২ দশমিক শূন্য ৫ ডিগ্রি পূর্বে টাঙ্গাইলে ছিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল, যা ঢাকার ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের দূরত্ব থেকে ৫৯ কিলোমিটার। আঘাত হানা ভূমিকম্পটি হালকা শ্রেণীর।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পের সম্ভাব্য দুটি উৎসই ঢাকার ১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে এবং এছাড়া ঢাকার পাশের কয়েকটি এলাকায় ভূমিকম্পের ইতিহাসও আছে। বিশেষ করে সিলেট এবং চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল—এসব এলাকায় বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে সেটাই ঢাকার জন্য বড় বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। 

রাজধানীতে মাঝেমধ্যেই যেসব ভূকম্পন অনুভূত হয়, যার উৎস সাধারণভাবে বাংলাদেশের বাইরে এবং ঢাকা থেকে ২০০-৩০০ কিলোমিটার দূরে। অনেকগুলো ভূমিকম্পের মূল কেন্দ্র ছিল পূর্বদিকে মিয়ানমার অথবা ভারতের মিজোরাম, মণিপুর এবং উত্তরে আসাম, নেপাল কিংবা ভুটানে। কিন্তু এর মধ্যেই অনেক ছোট-বড় ভূমিকম্প হয়েছে, যার উৎসস্থল ছিল ঢাকার কাছাকাছি এলাকাগুলোতেই। এটা আশঙ্কার বড় কারণ বলে মনে করছেন ভূতত্ত্ব গবেষকরা। 

এর আগে ২৯ আগস্ট সিলেটে একটি ৩ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলার মাঝামাঝি স্থানে। 

এছাড়া ১৪ আগস্ট ঢাকাসহ এর আশপাশের এলাকায় ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ওই ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসাম অঙ্গরাজ্যের করিমগঞ্জ থেকে ১৮ দশমিক ২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। ঢাকার আশপাশের এলাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অনুভূত হয়েছিল এ ভূমিকম্প।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন