আলুর দাম নিয়ে কারসাজি হয় হিমাগারেই

শাহাদাত বিপ্লব

চলতি বছর মৌসুমের শুরুতে অর্থাৎ মার্চে কৃষকরা প্রতি কেজি আলু বিক্রি করেন ১০-১২ টাকায়। কিন্তু জুলাই থেকে অস্থির হওয়া শুরু করে এ পণ্যের বাজার। বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু কিনতে হচ্ছে ৪৮-৫৫ টাকায়। শুধু এবারই নয়, প্রতি বছর কৃষকের হাত থেকে বিক্রি হওয়ার পর থেকেই বাড়তে থাকে দাম। সাধারণত মার্চে কৃষকরা ফড়িয়া ও আড়তদারদের কাছে আলু বিক্রি করেন। এরপর জুলাইয়ে দাম বাড়তে শুরু করে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর নাগাদ তিন মাসে সর্বোচ্চে গিয়ে ঠেকে। কৃষি খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি বছর আলুর দাম নিয়ে মূলত কারসাজি হয় হিমাগার পর্যায়ে। এতে ভূমিকা রাখেন ফড়িয়া, হিমাগার (কোল্ড স্টোরেজ) মালিক ও আড়তদাররা। 

বাজার অস্থিতিশীল হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর সর্বোচ্চ মূল্য ৩৫-৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যদিও পাইকারি ও খুচরা বাজারে তার কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। সংশ্লিষ্টরা জানান, কৃষকরা আলু উৎপাদন করলেও তারা ন্যায্যমূল্য পান না। তাদের কাছ থেকে তুলনামূলক কম দামে কিনে মৌসুম শেষে আড়তদার, ব্যবসায়ী ও হিমাগার মালিকরাই দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করে তোলেন।

এর আগে ২০২০ সালেও চলতি বছরের মতো একইভাবে আলুর দাম বেড়েছিল। সাধারণত মার্চে মাঠ থেকে আলু তোলা শুরু করেন কৃষকরা। এ মাসেই তারা ৬৫ শতাংশ আলু বিক্রি করে দেন। এরপর এপ্রিলে ২৫ শতাংশ, মে মাসে ৬ শতাংশ এবং বাকি ৪ শতাংশ আলু জুনে বিক্রি করেন কৃষকরা। উৎপাদন মৌসুমে কৃষকের কাছ থেকে হিমাগার মালিক ও ব্যবসায়ীরা ফড়িয়াদের মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে আলু কিনে নেন। এর জন্য ফড়িয়াদের একটি নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করতে হয়। মার্চ থেকে জুনের মধ্যে কৃষক তার উৎপাদিত ৬০-৮০ শতাংশ আলুই বিক্রি করে দেন। জুনের পর কৃষকের কাছে নিজ পরিবারের খাবারের জন্য এবং বীজ আলু ব্যতীত আর অবশিষ্ট থাকে না। 

হিমাগারে কৃষক তাদের বীজ আলু সংরক্ষণ করে থাকেন। তবে সিংহভাগই মজুদ করেন ব্যবসায়ী-আড়তদাররা। হিমাগার মালিকদের মধ্যেও কেউ কেউ এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকেন। হিমাগারগুলো থেকে জুনে আলু বিক্রি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। তা চলে ডিসেম্বর পর্যন্ত। সাধারণত জুনে ৮ শতাংশ, জুলাই ও আগস্টে ১০ শতাংশ করে, সেপ্টেম্বরে ২০ শতাংশ, অক্টোবরে ৩০ শতাংশ, নভেম্বরে ২০ শতাংশ এবং ডিসেম্বরে ২ শতাংশ আলু হিমাগার থেকে বিক্রি হয়। 

কৃষকের জিম্মায় যখন থাকে অর্থাৎ মার্চ থেকে জুনে আলুর দাম বাড়তে দেখা যায় না। মার্চে কৃষকরা এ পণ্য মণপ্রতি ৪৭০ টাকায় বিক্রি করেন। এরপর এপ্রিলে ৫৮০ টাকা, মে মাসে ৮২৫ এবং জুনে মণপ্রতি ৮৭০ টাকায় বিক্রি করেন কৃষক। হিমাগার থেকে আলু বিক্রি শুরু হওয়ার পরই দ্রুত দাম বাড়তে দেখা যায়। জুলাইয়ে মণপ্রতি আলু ১ হাজার ২০০ টাকা, আগস্টে ১ হাজার ২৬০, সেপ্টেম্বরে ১ হাজার ৪০০, অক্টোবরে ১ হাজার ৬০০ এবং নভেম্বরে দাম বেড়ে গিয়ে ঠেকে ১ হাজার ৬৫০ টাকায়। তবে ডিসেম্বরে অল্প পরিমাণে নতুন আলু বাজারে আসায় দাম কিছুটা কমে মণপ্রতি বিক্রি হয় ৯৫০ টাকায়। ২০২০ সালে আলুর বাজারের অস্থিরতা নিয়ে এমন পর্যবেক্ষণ উঠে আসে ‘দ্য বাংলাদেশ জার্নাল অব এগ্রিকালচারাল ইকোনমিক্স’-এ প্রকাশিত এক গবেষণায়। 

কৃষি খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বীজ আলু বিক্রি হয় সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে। মূলত এ সময়েই সবচেয়ে বেশি আলুর দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। যদিও কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সার্বিক খরচ বিবেচনায় নিলে প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয় সাড়ে ১১-১২ টাকা। আর হিমাগারে রাখতে প্রতি কেজি আলুর জন্য খরচ হয় ৫-৬ টাকা।

‘ডিমান্ড, সাপ্লাই অ্যান্ড রিজনস ফর প্রাইস হাইক অব পটেটো ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণাটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের একদল বিজ্ঞানী। 

গবেষণায় সংশ্লিষ্ট কৃষি অর্থনীতিবিদ ও ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলম খান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বর্তমান সময়ে কৃষকের হাতে কোনো আলু নেই। আলু এখন কোল্ড স্টোরেজ মালিকদের হাতে। আড়তদার ও বড় ব্যবসায়ীরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। এখানেই সিন্ডিকেট করার মাধ্যমে কারসাজি হয়। উৎপাদন অনুযায়ী আলুর সরবরাহে সংকট নেই। মৌসুমের শুরুর তুলনায় এ সময়ে এসে কেজিতে দাম সর্বোচ্চ ৮-১০ টাকা বাড়তে পারত। কারণ হিমাগার খরচ বা ওজন কমে যায়। কিন্তু এখন কেজিপ্রতি ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কিছু হিমাগার মালিক, বড় ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা বাজারকে অস্থিতিশীল করছেন। যেটা আমরা আগেও দেখেছি।’ 

সরকারিভাবে আলু সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার যেভাবে চাল মজুদ করে সেভাবে আলু মজুদ করতে পারে। তাহলে বাজার অস্থিতিশীল হলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। কিন্তু এভাবে দাম বেঁধে দিলেও তা বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা থাকবে। মূল জায়গায় কাজ করার আছে।’ 

বিভিন্ন জেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলতি উৎপাদন মৌসুমে কৃষকরা প্রতি কেজি আলুর মূল্য পেয়েছেন ৯-১২ টাকা। জুন পর্যন্ত তা সর্বোচ্চ ১৬-১৮ টাকায় বিক্রি হয়। বর্তমানে উৎপাদিত আলুর প্রায় পুরোটাই বিক্রি করে দিয়েছেন ব্যবসায়ী ও বেপারীদের কাছে। কিছু আলু বীজের জন্য হিমাগারে সংরক্ষণ করেছেন। ফলে বাজারে আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হচ্ছেন। হিমাগারগুলোয় হাত বদলে লাগামহীন হয়ে উঠছে পণ্যটির দাম।

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষক আজিজ মিয়া বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এবার প্রায় ১০৯ একর জমিতে আলুর চাষ করেছিলাম। মার্চের প্রথম সপ্তাহে জমি থেকে আলু তুলে ৯-১০ টাকা কেজি দরে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করি। এর পাঁচ-ছয় মাসের ব্যবধানে এখন বাজারে দাম বেড়েছে চার-পাঁচ গুণের বেশি।’

একই কথা জানান নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কৃষক মামুন মিয়া। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘মৌসুমের শুরুতে আমাদের কাছ থেকে ফড়িয়ারা ১০-১২ টাকায় প্রতি কেজি আলু কিনে নেয়। প্রতি বছর এমনটাই হয়। আমরা দাম না পেলেও মাঝখানে ব্যবসায়ীরা মোটা অংকের লাভ করে নেয়।’

শীর্ষ আলু উৎপাদনকারী জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম রংপুর। জেলাটিতে গত অর্থবছরে ১১ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯৬ টন আলু উৎপাদন হয়। জেলাটিতে কোল্ড স্টোরেজ আছে ৩৯টি। রংপুরের কোল্ড স্টোরেজগুলোয় বর্তমানে ৩৬ টাকা ৫০ পয়সায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে। তা পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান পাইকারি বাজারের আলু ব্যবসায়ী কামালুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আলুর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির জন্য অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট দায়ী। বর্তমানে কোল্ড স্টোরেজেই বেশি দামে আলু বিক্রি হচ্ছে। মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে ১২ টাকা করে কেনা প্রতি কেজি আলুর সঙ্গে কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া বাবদ ৬ টাকা যোগ করলে আলুর দাম হয় ১৮ টাকা। এর সঙ্গে আরো ২ টাকা যোগ করে প্রতি কেজি আলুর পাইকারি মূল্য ২০ টাকা এবং ৫ টাকা যোগ করে খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ২৫ টাকা হয়। তাই বাজারে নয়, কোল্ড স্টোরেজগুলোয় অভিযান চালিয়ে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিলে অবশ্যই বাজার স্বাভাবিক হতে বাধ্য।’

দেশের আলু উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য আরেকটি জেলা বগুড়া। চলতি বছর এ জেলায় ১১ লাখ ৪৬ হাজার ২৮৮ টন আলু উৎপাদন হয়েছে। বগুড়ায় ৪১টি হিমাগার রয়েছে। এখানকার খুচরা বাজারে বর্তমানে কেজিপ্রতি ৫৫ টাকা দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। হিমাগার পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৬ টাকায়। ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বগুড়ায় হিমাগার পর্যায়েই দাম এখন ৪৫ টাকার বেশি। সেখানে খুচরা পর্যন্ত আসতে আসতে ৫৫ টাকা হয়ে যায়।’ 

যারা আলু মজুদ করছেন তারাই আলুর বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার সরকার দাম নির্ধারণ করে দেয়। এখন বাজারে যে আলু আছে তা ঘোষণার আগের আলু। এ কারণে দাম এখনো বেশি। আবার কোল্ড স্টোরেজ থেকে যেসব ব্যবসায়ী এখনো বেশি দামে বিক্রি করছেন তারা স্বভাবতই চাইবেন যেন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হয়। দেশে আলুর সংকট নেই। সরকার থেকে তদারকি করা উচিত কারা কত আলু মজুদ করেছে এবং কারা অস্থিতিশীল করছে। আমরা বারবার বলে আসছি তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে। এটা শক্তভাবে মনিটরিং না করলে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।’ 

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিট (এফপিএমইউ) থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে আলুর বীজ প্রয়োজন হয়েছিল ১ লাখ ২৮ হাজার টন। এর মধ্যে ৮৩ দশমিক ৬ শতাংশ বীজই কৃষক নিজে সরবরাহ করেন। আর সরকারিভাবে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ এবং বেসরকারিভাবে ১২ দশমিক ১ শতাংশ সরবরাহ করা হয়।

দেশে বর্তমানে আলুর বার্ষিক চাহিদা ৭৫-৮০ লাখ টন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর আলু উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৬ টন। ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ কোটি ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৫ টন এবং ২০২০-২১ ৯৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৪২ টন আলু উৎপাদন হয়। তবে উৎপাদন বাড়লেও কমেছে রফতানি। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭৮ হাজার ৯১০ টন আলু রফতানি হয়েছিল। এর আগের অর্থবছর রফতানি হয় মাত্র ৬৮ হাজার ৭৭৩ টন। কিন্তু ২০২২-২৩ অর্থবছরে আলু রফতানি আগের বছরের চেয়ে অর্ধেকে নেমেছে বলে জানিয়েছেন রফতানিসংশ্লিষ্টরা। 

বর্তমানে হিমাগারগুলোয় প্রায় ১৫-১৬ লাখ টন আলু মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আলু উৎপাদনের সব ধরনের খরচ বিবেচনায় নিয়ে আমরা দেখেছি এক কেজি আলু উৎপাদনে কৃষকের সর্বোচ্চ সাড়ে ১১ টাকা খরচ হয়। সেখানে কোল্ড স্টোরেজ খরচ ও পরিবহন খরচ বিবেচনায় নিলে প্রতি কেজির খরচ সর্বোচ্চ ২০ টাকা হতে পারে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। বাজারে প্রচুর আলু রয়েছে। এটা এখন হিমাগার মালিক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারাই বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। এখনো ১৬ লাখ টন হিমাগারে মজুদ রয়েছে। আলু রফতানি হয় অল্প পরিমাণে। এটা বাজারকে প্রভাবিত করতে পারে না।’ 

সুযোগ বুঝে একটি অদৃশ্য হাত আলুর বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। গতকাল মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে আলুর বাজারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি বলেন, ‘হিমাগারে এখনো আলুর মজুত আছে পর্যাপ্ত পরিমাণ। এ বছর যে পরিমাণ আলু উৎপাদন হয়েছে তাতে কোনো ঘাটতি হবে না। একটি অদৃশ্য হাত আলুর বাজারকে অস্থির করে তুলেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।’ 

(প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বণিক বার্তার রংপুর প্রতিনিধি এসএম পিয়াল, বগুড়া প্রতিনিধি এইচ আলিম ও মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি শুভ ঘোষ)

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন