শিক্ষার্থীদের খণ্ডকালীন কাজ

তিন বন্ধুর উদ্যোগে ক্যাম্পাসের একমাত্র ফুডকোর্ট

শুভ দে

মাভাবিপ্রবির ফুডকোর্ট হালাল ফুড সেন্টার ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) মুক্ত মঞ্চের পাশে স্বপ্ন চত্বরে দেখা মেলে ফাস্টফুড দোকান ‘‌হালাল ফুড সেন্টার’। সংক্ষেপে এইচএফসি। ক্যাম্পাসের একমাত্র দোকানও এটি। উদ্যোক্তা এ ক্যাম্পাসেরই শিক্ষার্থীরা। মাভাবিপ্রবির সিপিএস বিভাগের শিক্ষার্থী অপু চৌধুরী, আবিদুর রহমান আবিদ এবং টাঙ্গাইল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী নাইমুজ্জামান সিয়াম। তিন বন্ধু পড়াশোনার পাশাপাশি দেড় বছরের বেশি সময় ধরে এই ফুডকোর্টটি পরিচালনা করে আসছেন। ল্যাপটপ কেনার জন্য ব্যাংক থেকে দুই বন্ধু ৪০ হাজার টাকা ঋণ নেন, সেই ঋণের টাকা দিয়েই শুরু করেন ব্যবসা। এক বছরের ব্যবধানে তাদের পুঁজি এখন ৪ লাখ টাকা। শুধু তা-ই নয়, এ তিন শিক্ষার্থী আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি ফুডকোর্টটিতে এখন আরো সাতজনের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। এরই মধ্যে টাঙ্গাইল শহরের ছয়আনি পুকুর পাড়ে হালাল ফুড সেন্টারের আরেকটি শাখা চালু করেছেন তারা। 

শিক্ষার্থীদের সাধ্যের মধ্যে হালাল ফুড সেন্টারে পাওয়া যায় নানা রকমের খাবার। ৪০ টাকায় বার্গার, ৫০ টাকায় চিকেন বার্গার, ৬০ টাকায় বারবিকিউ চিকেন বার্গার, ৫০ টাকায় ফুচকা, ৫০ টাকায় চকোলেট কোল্ড কফি, ৫০ টাকায় লাচ্ছি, ২৫ টাকায় হট কফি, হট চকোলেট ৩০ টাকায়, ৫০ টাকায় স্যান্ডউইচ,  ১০০ টাকায় চিকেন চিজ পাস্তা। এছাড়া রয়েছে নানান পানীয়। 

মাভাবিপ্রবির ব্যবসায়িক মনোভাবাপন্ন এ উদ্যোক্তারা জানান, তাদের সবসময় ইচ্ছা ছিল নিজের একটি পরিচয় দাঁড় করানো। মাভাবিপ্রবির উদ্যোক্তা সিপিএস বিভাগের শিক্ষার্থী অপু চৌধুরী বলেন, ‘‌আমাদের ইচ্ছা আছে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের মতো প্রত্যেক বিভাগ, জেলা, থানায় আমাদের হালাল ফুড সেন্টারের একটি ফুডকোর্ট থাকবে। আমাদের প্রয়োজন শুধু দক্ষ জনবল ও বিশ্বস্ত কর্মী। অনেক জায়গা থেকেই অফার পেয়েছি। আমরা যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেব।’

উদ্যোক্তাদের আরেকজন নাইমুজ্জামান সিয়াম বলেন, ‘‌আমাদের গল্প শুনে কেউ যদি নতুন স্টার্টআপ করতে পারে সেটাই আমাদের সফলতা। আমরাও চাই অন্যরা যাতে ব্যবসায় উদ্যোগ গ্রহণ করে। অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন