চলতি ২০২৩ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৫৮ শতাংশেরও বেশি। কোম্পানিটির চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৭৮ পয়সা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ৫৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। মূলত আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির বীমা দাবি বাবদ বেশি অর্থ পরিশোধ করতে হয়েছে। এজন্য আলোচ্য সময়ে কোম্পানির ইপিএস কমেছে। গত বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৯ টাকা ৯৪ পয়সায়, আগের হিসাব বছরের একই সময় শেষে যা ছিল ৬৮ টাকা ৯৬ পয়সায়।
সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৭ টাকা ৩০ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৮ টাকা ৪৩ পয়সা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এ ইপিএস কমার কারণ হিসাবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, আলোচ্য হিসাব বছরে তাদের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি থেকে মুনাফা কমেছে। পাশাপাশি বীমা দাবি বাবদ কোম্পানিটির ব্যয়ও বেড়েছে। এসব কারণে কোম্পানিটির ইপিএস কমে গেছে। গত বছরের ৩১ ডিসেবম্বর শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৬৮ টাকা ৯৬ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৬৯ টাকা ৩২ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ৪৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬ টাকা ৬৬ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। এর মধ্যে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ ও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।