পূর্ণ ইন্টারনেট চালুর অপেক্ষায় পুঁজিবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহে অস্থির সময় পার করেছে পুঁজিবাজার। ইন্টারনেট সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় এ সময়ে সূচকের পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও ছিল নিম্নমুখী। গত সপ্তাহের দুই কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৬০ শতাংশ পয়েন্ট হারিয়েছে। এ সময়ে এক্সচেঞ্জটির দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ কমেছে ৪০ দশমিক ৮ শতাংশ।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট চালু ও কারফিউ শিথিল হলেও তা পুঁজিবাজারে প্রভাব ফেলছে না। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা এখনো আতঙ্কগ্রস্ত রয়েছেন। তাছাড়া ইন্টারনেট সমস্যার কারণে তারা সঠিকভাবে বাজারের তথ্য জানতে পারছেন না। এ অবস্থায় নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট পরিসেবা ও সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

পুঁজিবাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের দুই কার্যদিবসে ডিএসইএক্স সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৬০ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৪১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৫ হাজার ৪৪৭ পয়েন্টে। এছাড়া গত সপ্তাহে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ২১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৯৫৩ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গত সপ্তাহে ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ১৯১ পয়েন্ট। 

ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৬৫৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ২ হাজার ২২০ কোটি টাকা। 

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৫ দশমিক ৯১ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৬৮ শতাংশ দখলে নিয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। এছাড়া ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে সব আর্থিক খাতের শেয়ারেই নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে সাধারণ বীমা ১ দশমিক ৫৭, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ১ দশমিক ৪৫, মিউচুয়াল ফান্ড দশমিক ৯২, জীবন বীমা দশমিক ৯০ ও ব্যাংক খাতে দশমিক ২৬ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এছাড়া আলোচ্য সপ্তাহে প্রকৌশল খাতে ১ দশমিক ৬৪, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে দশমিক ৯১ ও ওষুধ খাতে দশমিক ৬২ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন ছিল। 

দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৯৭ শতাংশ কমে ১৫ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৫ হাজার ৫৬৭ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে দশমিক ৯১ শতাংশ কমে ৯ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৯ হাজার ৩৭১ পয়েন্টে। সিএসইতে গত সপ্তাহে কেবল ৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪১টির, কমেছে ১৪৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৬টির বাজারদর।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন