৭৫০% চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশের ঘোষণা

ম্যারিকো বাংলাদেশের আয় ও নিট মুনাফা দুটোই বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের সর্বশেষ ৩১ মার্চ সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে আগের হিসাব বছরের তুলনায় আয় কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দুটোই বেড়েছে। এর মধ্যে আয়ে শতাংশের বেশি নিট মুনাফায় প্রায় শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে কোম্পানিটির। ওষুধ রসায়ন খাতের কোম্পানিটির সর্বশেষ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনের আলোকে বহুজাতিক কোম্পানিটির পর্ষদ সর্বশেষ হিসাব বছরের জন্য ৭৫০ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে।

নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে ম্যারিকো বাংলাদেশের আয় হয়েছে হাজার ৪১৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল হাজার ৩০৩ কোটি ২২ লাখ। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ১১০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বা দশমিক ৪৭ শতাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৩৮৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩৫৫ কোটি ৩৯ লাখ। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানির নিট মুনাফা বেড়েছে ৩১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বা দশমিক ৯৬ শতাংশ। সর্বশেষ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২২ টাকা ৯৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১১২ টাকা ৮২ পয়সা।

সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের এরই মধ্যে দুই দফায় ৭৫০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ম্যারিকো বাংলাদেশ। এর মধ্যে প্রথম দফায় ৪৫০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ দ্বিতীয় দফায় ৩০০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ পেয়েছেন শেয়ারহোল্ডাররা। ঘোষিত লভ্যাংশসহ আলোচ্য হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১৫০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পর্ষদ।

সর্বশেষ ক্রেডিট রেটিং অনুসারে, কোম্পানিটির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদেএএ+’ স্বল্পমেয়াদেএসটি- সর্বশেষ ৩১ মার্চ সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী, গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের অর্ধবার্ষিক সময়ের নিরীক্ষিত প্রতিবেদন এবং অন্যান্য গুণগত পরিমাণগত তথ্যের ভিত্তিতে প্রত্যয়ন করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)

২০২১-২২ হিসাব বছরে ২০০ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশের বাইরে ৬০০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে ম্যারিকো বাংলাদেশের আয় হয়েছে হাজার ৩০৩ কোটি টাকা, যেখানে আগের হিসাব বছরে আয় ছিল হাজার ১৩০ কোটি। ২০২১-২২ হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৩৫৫ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরে নিট মুনাফা ছিল প্রায় ৩১১ কোটি টাকা। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১১২ টাকা ৮২ পয়সা, যা এর আগের হিসাব বছরে ছিল ৯৮ টাকা ৬৯ পয়সা।

৩১ মার্চ সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ৯০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ম্যারিকো বাংলাদেশ। এর আগে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ৩১ মার্চ সমাপ্ত ২০১৯-২০ হিসাব বছরে মোট ৯৫০ শতাংশ। ওই হিসাব বছরের জন্য ২০০ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশের বাইরে ৭৫০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের মোট ৬৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। এর মধ্যে ৬০০ শতাংশ অন্তর্বর্তী বাকি ৫০ শতাংশ দেয় চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ।

মুম্বাইভিত্তিক এফএমসিজি কোম্পানি ম্যারিকো ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করে। ২০০৯ সালে এটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৪০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে বর্তমানে এর পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৯০ শতাংশই রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৬৬ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৯০ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি দশমিক ৪৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন