করোনারি এনজিওগ্রাম

নিজেই নিন প্রস্তুতি

বণিক বার্তা ডেস্ক

এনজিওগ্রাম করার ক্ষেত্রে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ডাক্তাররা তো বটেই এনজিওগ্রাম করার আগে রোগীর নিজেরও কিছু প্রস্তুতির দরকার আছে। তাহলে বেশকিছু ঝামেলা এড়ানো সম্ভব হবে। ডাক্তাররাও এনজিওগ্রাম করতে গিয়ে তেমন কোনো সমস্যার মুখে পড়বেন না। জেনে নিন এনজিওগ্রামের আগে আপনি নিজে কোন কোন প্রস্তুতি নেবেন। 

কখনো কখনো হয়তো জরুরি ভিত্তিতে আপৎকালীন কিছু করোনারি এনজিওগ্রাম করা হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আগে থেকে সব জানানো হয়ে থাকে। যেহেতু আগে থেকে দিনক্ষণ ঠিক করা হয় ফলে রোগীকেও কিছু ক্ষেত্রে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য সময় দেয়া হয়।

সাধারণত এনজিওগ্রাম করা হয় হাসপাতালের ক্যাথিটারাইজেশন (ক্যাথ) ল্যাবে। রোগীর স্বাস্থ্য পরিচর্যা টিম এ সময় রোগীকে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলার কথা বলেন। সেই সঙ্গে রোগী আগে থেকে কোনো ওষুধ খেয়েছে কিনা সেই বিষয়গুলো নিয়েও রোগীর সঙ্গে কথা বলবেন। 

এছাড়া রোগীকে বেশকিছু সাধারণ নির্দেশিকা দেয়া হয়ে থাকে। যেদিন এনজিওগ্রাম করা হবে তার আগের মাঝরাতের পর আর কোনো কিছু না খাওয়ার বা কোনো পানীয় না পান করার কথা বলে থাকেন ডাক্তাররা। সেটা মেনে চলুন। 

এনজিওগ্রাম করতে হাসপাতালে যাওয়ার আগে আপনার সব ওষুধপত্র সঙ্গে করে নিয়ে যান। অথবা ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করে নিন আপনি সাধারণত যেসব ওষুধ খান সেগুলো সঙ্গে নিয়ে আসবেন কি না।

আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে আপনার সতর্কতা ও প্রস্তুতি দরকার হবে আরেকটু বেশি। এনজিওগ্রাম করতে যাওয়ার আগে ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করে নিন আপনাকে ইনসুলিন নিতে হবে কিনা বা অন্য কোনো ওষুধ খেতে হবে কিনা।

আপনার যদি কোনো অ্যালার্জি থাকে, তাহলে সে কথা অবশ্যই আপনার ডাক্তারকে জানান। আপনার যদি আগে কখনো ইন্ট্রাভেনাস কনট্রাস্ট মিডিয়ামের (কিডনির এক্স-রে ও সিটি স্ক্যানে ব্যবহার করা ডাই) জন্য কোনো সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সেসবও ডাক্তারকে অবহিত করতে ভুলবেন না। 

সাধারণত রোগীর হাতে বা কুঁচকিতে বড় আর্টারি ব্যবহার করে এ প্রসিডিওর করা হয়। ফলে শরীরের সেই অংশটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। উদ্বেগ কাটানোর জন্য আপনাকে ঘুমের ওষুধ দেয়া হতে পারে।

ডাক্তারের দল এনজিওগ্রামের আগে আগে শরীর পরীক্ষা করে দেখবে এবং রোগীর ভাইটাল সাইন, যেমন রক্তচাপ, নাড়ি পরীক্ষা করে দেখবে তারা।

এনজিওগ্রাম করার আগে আগে আপনাকে কনট্যাক্ট লেন্স, চশমা, গহনা ও চুলের পিন খুলে রাখতে হতে পারে।

এনজিওগ্রাম শেষে নার্সরা কিছুক্ষণ রুটিন অবজারভেশন করেন। তারপর পুরোপুরি সুস্থ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিছানায় শুয়েই বিশ্রাম নিতে হবে। ডাক্তাররা সুস্থ মনে করলে হয়তো সেদিনই আপনাকে ছেড়ে দিতে পারেন। প্রয়োজনে সর্বোচ্চ এক রাত আপনাকে হাসপাতালে রাখা হতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন