ল্যাপারোস্কোপি

যেখানে পাবেন সেবা

বণিক বার্তা ডেস্ক

ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারির মূল সমস্যা হলো এর শিখন প্রক্রিয়া দীর্ঘ। স্বল্প সময়ে এ সার্জারির কলাকৌশল আয়ত্তে আনা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। তাই একজন সার্জনকে দীর্ঘ সময় এ প্রক্রিয়া শেখার পেছনে ব্যয় করতে হয়। পাশাপাশি এ পদ্ধতিতে সার্জারি করতে হলে কিছু উন্নত প্রযুক্তির দামি দামি সব যন্ত্রপাতি দরকার হয়। সেটা ব্যক্তিগতভাবে কেনা বেশ কঠিন। সব মিলিয়ে এ চিকিৎসাপদ্ধতি ব্যয়বহুল হবে বলেই আশঙ্কা অনেকের। কিন্তু আদতে এ সেবা সাশ্রয়ী বলা চলে। কারণ উন্নত প্রযুক্তি আর যন্ত্রপাতির কারণে খরচ কিছুটা বেশি হলেও যেহেতু রোগীকে বেশি দিন হাসপাতালে থাকতে হয় না তাই অনেকখানি খরচ কমে আসে। তার পরও দেশে যেসব সার্জারি এ পদ্ধতিতে করা হয় তার একেকটিতে একেক ধরনের খরচ বহন করতে হয়। এমনকি হাসপাতালভেদেও সেই অর্থের পরিমাণে বেশ পরিবর্তন আসে।  ল্যাপারোস্কোপিতে অনেক উন্নত মানের যন্ত্রপাতি ব্যবহার হয়। সেসব যন্ত্রপাতি ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে তারপর আরেক রোগীর শরীরে ব্যবহার করতে হয়। তা না হলে রোগী অন্য একটি রোগে আক্রান্ত হয়, যার চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। কিন্তু এভাবে যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করার মতো উন্নত প্রযুক্তি সুবিধা অনেক হাসপাতালেই নেই। ফলে যারা সেই পরিপূর্ণ সেবাটা দেয় সেখানে খরচটা বেশি পড়ে। অন্যগুলোতে একটু কম খরচে এ সুবিধা পাওয়া যায়। এ কারণেই মূলত একেক হাসপাতালে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারির খরচ একেক ধরনের হয়। তাছাড়া ভিন্ন ভিন্ন রোগের অপারেশনে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় থাকে। তাতেও ব্যয়ের ক্ষেত্রে পার্থক্য তৈরি হয়। বর্তমানে দেশের সরকারি সব হাসপাতালে এ সেবা পাওয়া যাচ্ছে। মেডিকেল কলেজগুলোতে ইনস্ট্রুমেন্ট আছে, তবে কেউ সেটা ব্যবহার করতে পারছে, কেউ পারছে না। সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ সার্জারি হচ্ছে। ঢাকার বাইরে বড় শহরেও এ সার্জারি করা হচ্ছে। এভারকেয়ার, মনোয়ারা, ইউনাইটেড হাসপাতালেও এখন ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারির সুবিধা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন