ক্যাম্পাসে ক্রীড়াচর্চা

পড়ছেন অর্থনীতিতে ক্যারিয়ার পেশাদার ফুটবলে

ফিচার প্রতিবেদক

এআইইউবি ক্যাম্পাসে কৃষ্ণা রানী সরকার

‘‌পড়াশোনা এবং খেলা দুটোই সমানভাবে চালিয়ে আসছি। এটি আসলে অনেক কষ্টকর। স্কুল, কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি। ফুটবলকে সঙ্গী করে এতদূর আসার জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই সহযোগিতা পেয়েছি। আমার কখনো ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ছিল না। খেলতে খেলতেই আজ আমি ফুটবলার। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনা করে ভালো কিছু করব এটাই লক্ষ্য ছিল। অনেক চড়াই-উতরাই পাড়ি দিতে হয়েছে সফল হতে।’ সকালে নিয়মিত অনুশীলন শেষে ক্লান্ত শরীরে ঘুমিয়ে পড়ছেন কৃষ্ণা। সেল ফোনের কল রিসিভ করে ঘুমু ঘুমু কণ্ঠে নরম স্বরে অন্য পাশ থেকে নিজের ফুটবল ক্যারিয়ার ও পড়াশোনা নিয়ে এমনটাই জানালেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের অন্যতম ভরসা, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী কৃষ্ণা রানী সরকার। তবে মাঠে নামলে এ শান্ত কৃষ্ণাই যেন হয়ে ওঠেন অশান্ত। প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ানো এ স্ট্রাইকারের উল্লাসেই হেসেছে গোটা দেশ। সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করায় বড় অবদান কৃষ্ণার। একসময়ে যারা তার ফুটবল খেলা নিয়ে কটাক্ষ করত তারাই এখন তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। যদিও শুরুটা সহজ ছিল না। পাড়ি দিতে হয়েছে অনেক প্রতিবন্ধকতা। আর নারী হয়ে ফুটবল খেলা সমাজের অনেকেই সহজে মানতে পারেননি। কৃষ্ণা ফুটবল খেলা শুরু করেছিলেন জাম্বুরা দিয়ে। মেয়ের এ আগ্রহ দেখে একটি ফুটবল কিনে দিয়েছিলেন বাবা। দিনরাত ফুটবল নিয়ে পড়ে থাকায় রাগ করে মা সেই বলটাই কেটে ফেলেছিলেন। টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার উত্তর পাথালিয়া গ্রাম থেকে শুরুটা এমনই ছিল কৃষ্ণার। ফুটবল টুর্নামেন্টে কৃষ্ণার শুরুটা হয়েছিল ২০১১ সালে বঙ্গমাতা স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্ট দিয়ে। আর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় খেলা শুরু হয় ২০১২ সালে। শ্রীলংকায় এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে। 

এরপর এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাই ও চূড়ান্ত পর্বে। একাধিকবার খেলেছেন বয়সভিত্তিক সাফে। ২০১৪ সালে পাকিস্তানে মেয়েদের সাফে জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেকেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেন হ্যাটট্রিক। এভাবেই নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে হয়ে ওঠেন জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন