লালবাগ কেল্লায় অবস্থিত মুঘল আমলের হাম্মাম খানার উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস

বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে লালবাগ কেল্লার ঐতিহাসিক হাম্মাম খানা সংস্কার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,  বুধবার (২২ মার্চ) সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সংস্কার ও পুনরুদ্ধার করা পুরান ঢাকার লালবাগ কেল্লায় অবস্থিত মুঘল আমলের হাম্মাম খানা (বিশেষ ধরনের গোসলের স্থান) উদ্বোধন করেন।

২০২১ সালের মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর’স ফান্ড ফর কালচারাল প্রিজারভেশন (এএফসিপি) কার্যক্রমের আওতায় দুই বছর মেয়াদী পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের কাজটি শুরু হয়। ১৭ শতকে তৈরি প্রাচীন লালবাগ দুর্গের তিনটি প্রধান কাঠামোর অন্যতম মুঘল হাম্মাম খানার পুনরুদ্ধার ও স্থাপত্য কলার নথিবদ্ধকরণের কাজে এএফসিপি তহবিল থেকে মোট ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৩৩ আমেরিকান ডলার (প্রায় ২ কোটি টাকা) খরচ করা হয়েছে।

পুনরুদ্ধার করা মুঘল হাম্মাম খানা উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত ‘রেস্টরিং, রেট্রোফিটিং অ্যান্ড থ্রিডি আর্কিটেকচারাল ডকুমেন্টেশন অফ হিস্টোরিকাল মুঘল-এরা হাম্মাম খানা অ্যাট লালবাগ ফোর্ট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, বিশ্বজুড়ে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রসার, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অগ্রাধিকার। আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

এদিকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে সাংস্কৃতিক সম্পদ ও বৈচিত্র্য রক্ষায় ম্যান্ডেট অন্তর্ভুক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য তথা সাংস্কৃতিক সুরক্ষায় যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করেছে, বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের অর্থায়নে মোগল আমলে নির্মিত লালবাগ দুর্গের ঐতিহাসিক হাম্মামখানার সংস্কার-সংরক্ষণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। সেজন্য সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চন্দন কুমার দে এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে  প্রকল্পটি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করেন প্রকল্পের পরামর্শক ও সংরক্ষণ স্থপতি প্রফেসর ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ।

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, বিদেশে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক উদ্যোগগুলোর অন্যতম হলো অ্যাম্বাসেডর’স ফান্ড ফর কালচারাল প্রিজারভেশন (এএফসিপি)। গত ২০ বছরে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বাংলাদেশে ১১টি এএফসিপি প্রকল্পকে সহায়তা দিয়েছে। যার মোট প্রকল্প মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন