কভিড-পরবর্তী জটিলতা

চোখে সমস্যা থেকে যায় অনেকেরই

ফিচার ডেস্ক

ছবি: আমেরিকান জার্নাল অব ম্যানেজড কেয়ার

করোনা থেকে সেরে ওঠার পর অনেকের চোখে জটিলতা দেখা দেয়। দেখা যায় চোখ ফুলে লাল হয়েছে। কারো কারো চোখ ফুলে প্রায় বুজে আসছে। চোখ বন্ধ করলেও ব্যথা অনুভব হয়। দৃষ্টি ঝাপসা। শুরুতে কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগ মনে করা হলেও আসলে বিষয়টি করোনা-পরবর্তী জটিলতা হতে পারে বলে জানিয়েছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞরা। 

তারা জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এমন ব্যক্তিদের চোখে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা যায়। বিষয়টি কনজাংটিভাইটিস হয়েছে ধরে নিলে চলবে না। চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসার আওতায় আসতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে চোখের সমস্যা অপটিক নিউরোপ্যাথির দিকে চলে যেতে পারে। শুরুতে সতর্ক না হলে অনেক রোগীই দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর বাড়িতে বিশ্রামে থাকার কথা বলা হলেও তারা বিশ্রামে থাকছেন না। বিশ্রাম মোবাইলহীন হয় না। শরীর বিশ্রাম পেলেও চোখ বিরামহীনভাবে কাজ করছে। চোখের শুষ্কতা বেড়ে যাওয়ায় ভাইরাস সহজেই পথ পেয়ে যায়। ভারতীয় চিকিৎসক ডা. জ্যোতির্ময় দত্ত জানিয়েছেন, করোনা থেকে সেরে ওঠার পর ৫-১০ শতাংশ রোগীর মধ্যে ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস পাওয়া যাচ্ছে। 

অ্যামেরিকান একাডেমি অব অপথালমোলজি (এএও) জানায়, কভিড-১৯ সম্পর্কিত কনজেক্টিভাইটিস হলো করোনাভাইরাস ডিজিজ-১৯ নামক একটি নতুন রোগ, যা চোখে প্রকাশ পায়। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে মারাত্মক মহামারী করোনাভাইরাস সম্পর্কিত বিভিন্ন রোগকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর শ্বাসযন্ত্রের সিনড্রোমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তবে এর সঙ্গে কনজেক্টিভাইটিস বা অন্য কোনো চোখের চিহ্ন বা উপসর্গের বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে নেয়া হয়নি।

ঝুঁকির কারণ হিসেবে সংস্থাটি বলছে, বার্ধক্য, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বসবাস, দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগ, দীর্ঘমেয়াদি রোগ (ডায়াবেটিস, স্থূলতা, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি জটিলতা ও লিভারের জটিলতা) আক্রান্ত ব্যক্তিকে আরো ঝুঁকিতে ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. লি ওয়েনলিয়াং মনে করেন, একজন উপসর্গবিহীন গ্লকোমা রোগীকে ভাইরাস আক্রমণ করলে তার ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন