বিএসসির ১৪৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে মোট ২ হাজার ১১১ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৪৩ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন রয়েছে মাত্র দশ কোম্পানির দখলে। এ দশ কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিবিধ খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) লিমিটেডের। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রায় ১৪৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

তথ্য অনুসারে, গত সপ্তাহে বিএসসির মোট ১ কোটি ৪ লাখ ১৩ হাজার ৬৬৮টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৪৩ কোটি ৮১ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৮১ শতাংশই রয়েছে কোম্পানিটির দখলে। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ। 

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৬০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রাতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৯৮ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪ টাকা ৩৪ পয়সা। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭৬ টাকা ৫০ পয়সায়।

সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বিএসসি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২২৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরে মুনাফা ছিল ৭২ কোটি ৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ২১৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সর্বশেষ হিসাব বছরে কোম্পানাটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ৮০ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪ টাকা ৭২ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৭২ টাকা ৫২ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৬০ টাকা ২৮ পয়সায়। 

এর আগের ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বিএসসি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৭২ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ৭২ পয়সা। ২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। তার আগের হিসাব বছরের জন্যও ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় তারা। এর আগে ২০১৭-১৮ ও ২০১৬-১৭ হিসাব বছরের জন্য যথাক্রমে ৬ ও ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। 

১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৫২ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৪৮৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৫ কোটি ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ৪০। এর মধ্যে ৫২ দশমিক ১০ শতাংশ সরকার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ২৩ দশমিক ৯০ শতাংশ ও বাকি ২৪ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৯ দশমিক ৩৬, অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ৮ দশমিক ৭১।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন