চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্মা এইডসের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৮৮ শতাংশের বেশি। ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটির সর্বশেষ প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে ফার্মা এইডসের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১০ টাকা ৬৯ পয়সা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ৯ টাকা ৪৬ পয়সা বা ৮৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আর আলোচ্য হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৭৬ পয়সা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যেখানে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ৫ টাকা ৫৩ পয়সা। সদ্যসমাপ্ত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৪ টাকা ৭৩ পয়সায়।
সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে ফার্মা এইডসের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫ কোটি ৩ লাখ টাকা। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ১৪ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৬ টাকা ১১ পয়সা। এ বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৮ টাকা ৮৩ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৯৩ টাকা ২৬ পয়সায়।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরেও ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ফার্মা এইডস। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৫ কোটি ৩ লাখ টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরে মুনাফা ছিল ৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে মুনাফা কমেছে ২২ লাখ টাকার বেশি বা ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। এর আগে ২০১৯-২০, ২০১৮-১৯ ও ২০১৭-১৮ হিসাব বছরেও শেয়ারহোল্ডারদের ৫০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।