বায়ুদূষণের কারণে ঝুঁকি আরো বাড়ে

বণিক বার্তা ডেস্ক

নির্মাণকাজ ও যানবাহনের ধোঁয়ায় বাড়ছে ঢাকার বায়ুদূষণ ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

স্বাস্থ্যের ওপর বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করা হচ্ছে গত শতাব্দীর শেষ থেকে। উন্নত দেশগুলোতে বাড়ির বাইরের বায়ুর মান বদলাতে বেশকিছু কার্যকর নীতি গ্রহণ করা হয়েছে, সেখানে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কাঁচা জ্বালানি পুড়িয়ে ফেলার কারণে বাড়ির ভেতরের পরিবেশেও বেশ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

তবে কীভাবে এসব দূষিত পদার্থ প্রভাব ফেলবে তা ভিন্ন হতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের সঙ্গে বায়ুদূষণের গভীর সংযোগ পাওয়া যায়।

অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশে বায়ুদূষণ বেড়েছে। এর প্রভাবে বাড়ছে নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা। যার সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে শিশু বৃদ্ধদের ওপর। ফলে স্বাস্থ্যগত ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুই শ্রেণীর মানুষ সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে মৃত্যু অক্ষমতার দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ ছিল বায়ুদূষণ। ওই বছর বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যু হয়েছিল ৮০ হাজার মানুষের। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় বাংলাদেশে বায়ুদূষণের প্রভাব ঝুঁকির কথা উঠে এসেছে।

দেশের মানুষের শারীরিক মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বায়ুদূষণের প্রভাব মূল্যায়ন করা হয়েছে বিশ্বব্যাংক পরিচালিত ব্রিদিং হেভি: নিউ এভিডেন্স অন এয়ার পলিউশন অ্যান্ড হেলথ ইন বাংলাদেশ শীর্ষক গবেষণায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণ শ্বাসকষ্ট, কাশি, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণসহ বিষণ্নতা অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু প্রবীণরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁঁকিতে রয়েছে। এদের মধ্যে যাদের আগে থেকেই ডায়াবেটিস, হূদরোগ বা শ্বাসতন্ত্রের রোগ রয়েছে, তারা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।

গবেষণা অনুযায়ী, শ্বাসতন্ত্রের রোগে সংক্রমিতদের ১৫ শতাংশই শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশু। ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের হার ২৯ শতাংশ। এছাড়া শতাংশ আক্রান্তের বয়স থেকে ১৯ বছর এবং ১৫ শতাংশের বয়স ২০ থেকে ৬৪ বছর।

বাতাসে যেসব ক্ষতিকর ধূলিকণা রাসায়নিক পদার্থ মিশে থাকে তা খালি চোখে দেখা যায় না। কিন্তু এসব ধূলিকণা রাসায়নিক পদার্থের কারণে মানুষের ফুসফুস আক্রান্ত হয়। আর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রাজধানী ঢাকার বাতাস এখন জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। এতে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বাড়ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন