আন্তর্জাতিক সম্পর্ক

গবেষক তৈরিতে স্টুডেন্টস রিসার্চ ফর লার্নিং

ফিচার প্রতিবেদক

যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবনীয় উন্নতির ফলে বিংশ শতাব্দীর গোড়া থেকেই আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংযোগ বাড়তে থাকে। ফলে এক রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য রাষ্ট্রের সম্পর্ক পর্যালোচনায় একদিকে ভূ-রাজনৈতিক প্রসঙ্গ, অন্যদিকে সামাজিক, অর্থনৈতিক মানবিক দিক গুরুত্বপূর্ণ হতে থাকে। শুধু বই পড়ে শত শত তত্ত্ব কোনো কাজেই আসছে না। শিক্ষার্থীদের মাঝে বাস্তবিক জ্ঞান অর্জনের জন্য দরকার গবেষণামূলক প্লাটফর্ম।

গবেষণা ক্লাব প্রতিষ্ঠার চিন্তা প্রথম মাথায় আসে ২০১৫ সালে। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক . মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান শিক্ষার্থীদের গবেষণা বিষয়ক কোর্স পড়াচ্ছিলেন। সমসাময়িক আন্তর্জাতিক ঘটনাবলির খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ গ্রন্থের বাইরে সমসাময়িক বিশ্বের আনাচে-কানাচে দৃষ্টি প্রসারিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়। লক্ষ্যে ২০১৬ সালে বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় স্টুডেন্টস রিসার্চ ফর লার্নিং ক্লাব।

পরে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্যও ক্লাবের দ্বার উন্মুক্ত করা হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরিচালিত সংগঠন একপর্যায়ে সমসাময়িক জাতীয় আন্তর্জাতিক ইস্যুতে উন্মুক্ত আলোচনা, গ্রন্থ পর্যালোচনা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, উপস্থিত বক্তৃতা বিশেষজ্ঞ মতামতসহ বিভিন্ন বিষয়ে সেশন আয়োজন করতে থাকে। তাই বলা হয়ে থাকে তত্ত্বে সীমাবদ্ধ না থেকে গবেষণায় হাতে-কলমে বাস্তবিক জ্ঞান বিতরণ করে ক্লাব দক্ষ গবেষক তৈরিতে ভূমিকা রাখছে। আবার একাডেমিক জ্ঞানের পাশাপাশি সমসাময়িক বিষয়ে আয়োজিত বিভিন্ন সেশনে অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক হিসেবে গড়ে উঠছেন। বিতর্ক উপস্থিত বক্তৃতার মাধ্যমে তরুণদের মাঝে নতুন চিন্তার জগৎ উন্মোচিত হচ্ছে।

স্টুডেন্টস রিসার্চ ফর লার্নিং ক্লাবের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত রয়েছেন মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ঐশ্বর্য সংযুক্তা রায় প্রমা। তিনি বলেন, আমার জীবনের অনেক বড় ইচ্ছা গবেষণার সঙ্গে নিজেকে নিয়োজিত রাখা এবং নিজেকে আন্তর্জাতিক বিষয়ের বিশ্লেষক হিসেবে গড়ে তোলা। আমার স্বপ্ন পূরণে সংগঠনে জড়িত হওয়ার পর গবেষণাপত্র কীভাবে লিখতে হয় এবং লেখার পদ্ধতি কেমন হয় তা জানতে পেরেছি। আর সমসাময়িক আন্তর্জাতিক বিষয়ের চর্চার মাধ্যমে নিজেকে সবসময় আপডেটেড রাখতে পেরেছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন