ব্যাংক, মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারের মধ্যে অর্থ স্থানান্তরে বিনিময় নামে একটি সেবা চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। উদ্বোধনের সাতদিনের মধ্যেই প্রতারণামূলকভাবে এই প্লাটফর্ম থেকে ৯৭ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বগুড়া থেকে তিনজনকে গ্রেফতারের পর গতকাল রাজধানীর মালিবাগে সংবাদ সম্মেলন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সংস্থাটি জানায়, গত বুধবার বগুড়ায় অভিযান চালিয়ে এ চক্রের মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন গোলাম রব্বানী, শামীম আহমেদ ও রুহুল আমিন। এ সময় তাদের কাছ থেকে কম্পিউটারের সিপিইউ, বিপুল পরিমাণ সিম কার্ড, ব্যাংকের চেক বই, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড, ১৪টি মোবাইল ফোন ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের বিভিন্ন ধরনের রেজিস্টারসহ গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া জানান, সম্প্রতি চালু হওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠিত অ্যাপস ‘বিনিময়’ প্লাটফর্ম ব্যবহার করে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র ১০-১৭ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৯৬ লাখ ৭৪ হাজার ২৫৭ টাকা ডিজিটাল প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে। এ প্রতারক চক্র মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সেলফিন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ‘বিনিময়’ প্লাটফর্মে প্রবেশ করে তাদের নিজেদের বিকাশের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে টাকা ট্রান্সফারের অনুরোধ পাঠায়। এ অনুরোধে বিনিময় থেকে প্রতারকদের বিকাশের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার হয়। এ সময়ে প্রতারক চক্রের সদস্যদের সেলফিন অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা না থাকা সত্ত্বেও বিনিময় প্লাটফর্ম থেকে ডিজিটাল প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়। এ চক্রের আরো তিন সদস্য নজরদারিতে রয়েছেন। তাদের প্রতারণার বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (আইডিয়া) প্রকল্প বিনিময় সেবা তৈরি করেছে। পরে বাংলাদেশ ব্যাংককে এটি বুঝিয়ে দেয়া হয়, যা গত সোমবার থেকে চালু করা হয়। এ উদ্যোগে এখন পর্যন্ত ১২টি প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে, যারা একে অন্যের মধ্যে অর্থ বিনিময় করতে পারবে।