পুঁজিবাজারে মিশ্র প্রবণতা

শুরুর উত্থান ধরে রাখতে পারেনি সূচক

নিজস্ব প্রতিবেদক

গতকাল সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের পুঁজিবাজারে মিশ্র প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। এদিন লেনদেনের শুরুতে ঊর্ধ্বমুখিতা দেখা গেলেও শেষ ঘণ্টার বিক্রয়চাপে দিন শেষে সামান্য উত্থান হয়েছে পুঁজিবাজারে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স কিছুটা বাড়লেও দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল সূচক লেনদেন দুটোই কমেছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএসইসির সঙ্গে আইএমএফের বৈঠককে কেন্দ্র করে গতকাল পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চাপা অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে। কারণে দিন শেষে তাদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির প্রবণতা ছিল লক্ষণীয়। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ, তালিকাভুক্ত কোম্পানির আর্থিক ফলাফলে ভাটা, ব্যাংকের ভোক্তা ঋণের সুদের হারের সীমা প্রত্যাহারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তের মতো বিষয়গুলো বিনিয়োগকারীরা পর্যবেক্ষণ করছেন। সব মিলিয়ে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির অস্থিরতার প্রভাব দেখা গেছে পুঁজিবাজারেও।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরুর পর ঊর্ধ্বমুখী ছিল সূচক। তবে এক মিনিট পরেই শেয়ার বিক্রির চাপে পয়েন্ট হারাতে শুরু করে সূচক। দিনভর ওঠানামা শেষে বেলা ১২টা ৫৪ মিনিটে দিনের সর্বোচ্চ অবস্থানে ওঠে ডিএসইএক্স। তবে শেষ ঘণ্টার বিক্রয়চাপের কারণে গতকাল দিন শেষে আগের দিনের তুলনায় পয়েন্ট বেড়ে হাজার ৪১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসইএক্স। এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল হাজার ৪১০ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল পয়েন্ট বেড়ে হাজার ২৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল হাজার ২৫৩ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে পয়েন্ট বেড়ে হাজার ৪০৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল হাজার ৪০১ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, জেনেক্স ইনফোসিস, বসুন্ধরা পেপার মিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ারের।

ডিএসইতে গতকাল হাজার ২৭৫ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল হাজার ৫১২ কোটি টাকা। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৬৬টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ৬২টির, কমেছে ৯১টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২১৩টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়েছে বিবিধ খাত। ১৪ দশমিক শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাত। মোট লেনদেনের শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। আর কাগজ মুদ্রণ খাতের দখলে ছিল লেনদেনের দশমিক শতাংশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন