ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয়ের সুযোগ

ফিচার প্রতিবেদক

বৈশ্বিক কর্মবাজারের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ এখন ভার্চুয়ালি পরিচালিত নিয়ন্ত্রিত। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেও ইউরোপ-আমেরিকার প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ মিলছে অনেকের। এসব ফ্রিল্যান্স কাজের অন্যতম গ্রাফিক ডিজাইন। দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনাররা চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং থেকেও বড় অঙ্কের অর্থ আয়ের সুযোগ নিতে পারেন।

অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষার তথ্য বলছে, অনলাইন পেশাজীবী সরবরাহকারী হিসেবে বিশ্বে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থান বাংলাদেশের। এটি বৈশ্বিক অনলাইন মার্কেটের ১৬ শতাংশ। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ আইটি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে, যার মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে প্রায় হাজার ৬০০। সমীক্ষা অনুসারে, বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের বার্ষিক আয় প্রায় ৫০ কোটি ডলার।

ডিজিটাল আউটসোর্সিংয়ের জন্য বিশ্ববাজারের মনোযোগ এখন বাংলাদেশে। প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে মানসম্পন্ন সেবা দিচ্ছেন দেশের ফ্রিল্যান্সাররা। কারণে আউটসোর্সিংয়ের জন্য বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে অন্যতম গন্তব্য। খাতকে আরো গতিশীল করেছে করোনা মহামারী। লকডাউনসহ নানা বিধিনিষেধের কারণে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কাজ করিয়ে নিচ্ছে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো।

একজন গ্রাফিক ডিজাইনার ফ্রিল্যান্সিংয়ে ঘণ্টায় ৩৫-৪০ ডলার আয় করতে পারেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আয় আরো বেশি হতে পারে। প্রতি মাসে একজন ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক ডিজাইনার ২০-৫০ হাজার টাকা সহজেই আয় করতে পারেন। অধিক দক্ষতাসম্পন্নদের ক্ষেত্রে আয় লাখ টাকাও ছাড়িয়ে যেতে পারে। এর বাইরে চুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেন অনেক গ্রাফিক ডিজাইনার। বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বার্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করছেন তারা।

বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট আশিক আহমেদ গালিব। কাজ করছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্রিয়েটিভ সুপারভাইজার হিসেবে। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করছেন গ্রাফিক ডিজাইনে। তিনি জানান, দেশের ফ্রিল্যান্সাররা এখানে সফলতার সঙ্গে কাজ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। কাজের ক্ষেত্র বিশাল হলেও দক্ষ লোকের অভাব রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন