প্রায় চার দশক ধরে চলচ্চিত্র জগতে রয়েছেন টম হ্যাঙ্কস। সেই যে আশির দশকে ‘হি নোজ ইউ আর অ্যালোন’ সিনেমার মধ্য দিয়ে রুপালি পর্দায় পা রাখা, তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ৬৬ বছর বয়সী এ অভিনেতার নামের পাশে এখন শতাধিক চলচ্চিত্রের তালিকা। তাকে স্মরণ করা হয় সর্বকালের সেরা অভিনেতাদের একজন হিসেবে। এক কথায় তিনি আমেরিকান আইকন। সেভিং প্রাইভেট রায়ান, বিগ, কাস্ট অ্যাওয়ে, আ লিগ অব দেয়ার ওন, ফিলাডেলফিয়া, দ্য গ্রিন মাইল ও ফরেস্ট গাম্পের মতো প্রশংসনীয় অনেক সিনেমা তার ঝুলিতে। অথচ সম্প্রতি হ্যাঙ্কস বললেন, তার চারটি সিনেমাকে সব মিলিয়ে মোটামুটি ভালো বলা যায়।
নিজের প্রথম উপন্যাস ‘দ্য মেকিং অব অ্যানাদার মেজর মোশন পিকচার মাস্টারপিস’-এর প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে টমস হ্যাঙ্কসের। কয়েক দশক নিয়ে বিস্তৃত এ উপন্যাসের পটভূমি। ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক বিবর্তন। ২০২৩ সালে বাজারে আসা বইটি নিয়ে জনসম্মুখে কথা বলেছেন তিনি। সেখানে বলেন, ‘কেউ জানে না কীভাবে একটা মুভি নির্মাণ হয়, যদিও মানুষ মনে করে তারা জানে। আমি একগাদা সিনেমায় কাজ করেছি। তার মধ্যে চারটি মোটামুটি ভালো বলে মনে হয়। এখনো একটা চলচ্চিত্রের নির্মাণ আমাকে মুগ্ধ করে। চিন্তা থেকে কীভাবে সেটা হাজির হয় দৃশ্যপটে। গোটা প্রক্রিয়াই যেন অলৌকিক।’
তার এ অভিমত সাড়া ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। একরাশ নাম থেকে মাত্র চারটির কথা বলাতে কেউ বিস্মিত। কেউ আবার এক ধাপ এগিয়ে সেই চারটির নাম নিয়ে গবেষণায় মগ্ন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন টমের সেরা চার নিয়ে লিখছেন, ফরেস্ট গাম্প, কাস্ট অ্যাওয়ে, দ্য টারমিনাল ও গ্রিন মাইল। অন্য একজন লিখছে টারমিনাল, ফরেস্ট গাম্প, বিগ ও গ্রিন মাইল।
অভিনেতা হিসেবে প্রাপ্তির ঝুলি সমৃদ্ধ টম হ্যাঙ্কসের। ছয়বার মনোনয়ন পাওয়ার পর টানা দুবার অস্কার জিতেছেন সেরা অভিনেতা ক্যাটাগরিতে। ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া হওয়া চলচ্চিত্র দুটির নাম যথাক্রমে ফিলাডেলফিয়া ও ফরেস্ট গাম্প। জিতেছেন সাতবার এমি, চারবার গোল্ডেন গ্লোব ও দুবার অ্যাক্টর গিল্ড অ্যাওয়ার্ড। হিসাব করলে দেখা যায়, তার সিনেমাগুলো কেবল উত্তর আমেরিকায়ই ৪ হাজার ৯০০ কোটি ডলার আয় করেছে, বৈশ্বিক আয় ৯ হাজার ৯৬০ কোটি ডলার।
ব্যক্তিজীবনে ১৯৭৮ সালে সামান্থা লুইসের সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। সেই দাম্পত্য জীবন দীর্ঘ হয়নি। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে বিয়ে হয় রিটা উইলসনের সঙ্গে।
সূত্র: ইয়ন