সাত ম্যাচের টি২০ সিরিজে প্রথম ছয় ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা পাকিস্তান সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে দাঁড়াতেই পারল না। রোববার রাতে লাহোরে তাদের ৬৭ রানে হারিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করল ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপ শুরুর আগে পাকিস্তানের মাঠে এই সিরিজ জয় নিশ্চিতভাবেই অস্ট্রেলিয়ায় ফেভারিটের আসনে বসিয়ে দেবে ইংলিশদের।
ফিল সল্ট ষষ্ঠ ম্যাচে পুড়িয়েছেন পাকিস্তানকে। পরের ম্যাচে ডেভিড মালান জ্বলে উঠলেন। তিনি ৪৭ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে দুশ ছাড়ানো স্কোর এনে দেন। এছাড়া হ্যারি ব্রুক ৪৬ ও বেন ডাকেট ৩০ রান করেন। রান তাড়া করতে নেমে ৫ রানের মধ্যেই দলের দুই সেরা খেলোয়াড় বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে হারায় পাকিস্তান। স্বাগতিকদের লড়াইটা মূলত সেখানেই শেষ হয়ে যায়। এরপর শান মাসুদ (৫৬) ও তার সতীর্থদের লড়াই শুধু হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। পাকিস্তান ২০ ওভারশেষে তুলতে পেরেছে ৮ উইকেটে ১৪২ রান। ডেভিড মালান ম্যাচসেরা ও হ্যারি ব্রুম সিরিজসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন।
এদিকে, গুয়াহাটিতে ভারতের ছুড়ে দেয়া ২৩৮ রানের পাহাড়সম টার্গেট তাড়া করতে নেমে এক রানের মধ্যে দুই উইকেট নেই দক্ষিণ আফ্রিকার! ৩৭ রানে পতন ঘটে তৃতীয় উইকেটেরও। এরপরও দুশর বেশি রান তুলে ভারতকে চোখ রাঙানি দেয়া যাচ্ছতাই কথা নয়। কিন্তু সেটিই করল প্রোটিয়ারা। ১৬ রানে হার মানার আগে অবিশ্বাস্য লড়াই করেছে অতিথি দলটি।
৬.২ ওভারে তিন উইকেট পতনের পর কুইন্টন ডি কক ও ডেভিড মিলার যা করেছেন তা আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপের আগে প্রোটিয়াদের আশাবাদীই করে তুলল। চতুর্থ উইকেটে ৮৪ বলে ১৭৪ রান যোগ করেন দুজন। তাদের বিস্ফোরক ব্যাটিং ভয় পাইয়ে দিয়েছিল ভারতীয়দের। যদিও আস্কিং রেটটা এতই বেড়ে গিয়েছিল যে দুজনের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়েও শেষ পর্যন্ত জেতেনি প্রোটিয়ারা।
‘কিলার মিলার’ খ্যাত ডেভিড মিলার ৪৭ বলে ৭ ছক্কা ও ৮ চারের সাহায্যে ১০৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ৪৮ বলে ৬৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ডি কক। তিনি ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান। ১০৬ রানের এই জুটিতে অবশ্য মিলারেরই অবদান বেশি। তিনি করেছেন ১০৬ রান, ৬০ রান ডি ককের।
আন্তর্জাতিক টি২০তে রানের লড়াইটা দারুণ জমেছে ডি কক ও মিলারের। ১৯০৩ রান নিয়ে ম্যাচটি খেলতে নামেন মিলার। এখন তার নামের পাশে ২০০৯ রান। অনবদ্য খেলা ডি কক ৬৯ রান করায় নাম নামের পাশে এখন ১৯৬৪। মাত্র ৪৫ রানে পিছিয়ে থাকা ডি কক অবশ্য মিলারের চেয়ে ম্যাচ অনেক খেলেছেন। ৭১ ম্যাচে এই রান করেছেন তিনি, বিপরীতে মিলার ২০০৯ রান করেছেন ১০৩ ম্যাচ খেলে।
ডি ককের পরের দুজন অবসরে (জেপি ডুমিনি ও এবি ডি ভিলিয়ার্স) এবং ফাফ ডু প্লেসিও হয়তো আর আন্তর্জাতিক টি২০ খেলবেন না। কাজেই টি২০তে রানের লড়াইটা এখন এই দুজনের মধ্যেই সীমিত।
আগামীকাল ইন্দোরে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি২০ ম্যাচ। ভারত এরই মধ্যে সিরিজ জিতে নেয়ায় এই ম্যাচটি হয়ে পড়েছে স্রেফ আনুষ্ঠানিকতার। এরপর শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।