পুঁজিবাজারে মিশ্র প্রবণতা

এক হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত সপ্তাহের ধারায় চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঊর্ধ্বমুখিতা পরিলক্ষিত হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে দশমিক ২৯ শতাংশ। তবে এক্সচেঞ্জটির দৈনিক লেনদেন কিছুটা কমলেও হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল সূচক বাড়লেও দৈনিক লেনদেন কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর পর প্রথম ৩০ মিনিট পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী ছিল সূচক। এরপর কিছুটা ছন্দপতন ঘটে। বেলা ১১টা ১৮ মিনিটে সূচকটি আগের দিনের চেয়ে নিচে নেমে আসে। তবে এর পর থেকেই শেয়ার কেনার চাপে আবারো পয়েন্ট যোগ হতে থাকে সূচকে। দিনভর ওঠানামা শেষে শেষ পর্যন্ত গতকাল দিন শেষে আগের দিনের তুলনায় ১৮ পয়েন্ট বেড়ে হাজার ২৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসইএক্স। এর আগের কার্যদিবস শেষে যা ছিল হাজার ২৪১ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল পয়েন্ট বেড়ে হাজার ২২৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের দিন শেষে যা ছিল হাজার ২২০ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে পয়েন্ট বেড়ে হাজার ৩৭২ পয়েন্টে অবস্থান করছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি), বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ডলারের বিনিময় মূল্যের অস্থিরতা কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগ আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও দেশে তা সমন্বর করা সংক্রান্ত সরকারের ঘোষণার কারণে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। তবে বাজারে এখনো একশ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রি করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে আরেক শ্রেণীর বিনিয়োগকারী কম দামে শেয়ার কেনার দিকে ঝুঁকছেন। সব মিলিয়ে গতকাল পুঁজিবাজারে মিশ্র প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে।

ডিএসইতে গতকাল হাজার ৫৭ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল হাজার ১৫৯ কোটি টাকা। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৮১টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১৩৬টির, কমেছে ১৪৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১০২টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৯ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বস্ত্র খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়েছে বিবিধ খাত। ১০ দশমিক শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। মোট লেনদেনের দশমিক শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল ওষুধ রসায়ন খাত।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন