ওয়েস্ট ইন্ডিজে সফরে প্রথম তিন ম্যাচে জয়হীন বাংলাদেশ ‘এ’ দল। চারদিনের দুটি ম্যাচই ড্রতে শেষ হয়। এরপর সেন্ট লুসিয়ায় প্রথম
ওয়ানডে ম্যাচে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় বাংলাদেশ। অতিথি দলটি মাত্র ৮০ রানে গুটিয়ে
গেলে স্বাগতিকরা ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয়। এর দুদিন পরই ঘুরে দাঁড়াল মোহাম্মদ
মিথুনের দল। বৃহস্পতিবার নাইম শেখের সেঞ্চুরি ও সাব্বির রহমানের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৪৪ রানের
জয় পেয়েছে বাংলাদেশ
‘এ’ দল। শনিবার একই মাঠে সিরিজের মীমাংসা
হবে।
টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে প্রথম ম্যাচের
মতো বাংলাদেশ ব্যাটিংকে ধসিয়ে দিতে পারেনি স্বাগতিক বোলাররা। ওপেনিংয়ে নামা নাইম
শেখ দুরন্ত এক সেঞ্চুরি করে দলকে ভিত গড়ে দেন, যার ওপর দাঁড়িয়ে সাব্বির হাফসঞ্চুরি করে দলকে ২৭৭ রানের ভালো সংগ্রহ
এনে দেন। নাইম ১১৬ বলে ১৪ বাউন্ডারি ও এক ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১০৩ রান করেন।
আর সাব্বির ৫৮ বলে ৬২ রান করেন ৬ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায়।
এরপর বোলারদের অবিশ্বাস্য প্রচেষ্টায় জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। শিবনারায়ণ চন্দরপলের ছেলে ত্যাগনারায়ণ ও জসুয়া ওপেনিং জুটিতে ৯৪
রান তুলে নিলে জয়ের আশা জাগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। যদিও ২১তম ওভারে ত্যাগনারায়ণ ও ২৭তম
ওভারে জসুয়াকে আউট করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান পেসার রেজাউর রহমান রাজা। এরপর
মুকিদুল ইসলাম সাজঘরে ফেরান টেডি বিশপ আর টেভিন ইমলাচকে। মাঝে রানআউট হন জাস্টিন
গ্রিভস (১৬১/৫)। পাঁচ উইকেট পতনের পর
বাংলাদেশের শক্ত বোলিংয়ের মুখে আস্কিং রান রেট বেড়ে যায় স্বাগতিক দলটির। শেষ
পর্যন্ত ৯ উইকেটে ২২৪ রান তুলতে সমর্থ হয় তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ
‘এ’: ২৭৭/৬ (নাইম শেখ ১০৩, সাব্বির ৬২; অ্যান্ডারসন ফিলিপ ২/৪৫, ব্রায়ান চার্লস ২/৪৫, শেমরন লুইস ২/৫০)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’: ২৩৩/৯ (জসুয়া দ্য সিলভা ৬৮, ত্যাগনারায়ন ৩৮,
ব্রায়ান চার্লস
৩২*; মুকিদুল ইসলাম ৩/৩২, রেজাউর রহমান ২/৪৪)। ফল: বাংলাদেশ এ দল ৪৪ রানে জয়ী।
