জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নয় বছর আর ১৯ ম্যাচে অপরাজিত থাকার গৌরব নিয়ে শুক্রবার হারারেতে প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামে বাংলাদেশ। সঙ্গে যোগ হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ওয়ানডে সিরিজ জয়। যদিও তামিম ইকবালদের এ গৌরব চূর্ণ হয় সিকান্দার রাজা ও ইনোসেন্ট কাইয়ার বীরত্বপূর্ণ ব্যাটিংয়ের কাছে। দুজনের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া তিনশোর্ধ্ব সংগ্রহ তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নেয় স্বাগতিকরা। হারের পাশাপাশি সফরকারী দলে হানা দেয় চোটও। দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার লিটন দাস ছিটকে গেছেন সিরিজ থেকে। ফেভারিট থেকে আকস্মিকই ব্যাকফুটে চলে যাওয়া বাংলাদেশ দলের সামনে আজ সিরিজে সমতায় ফেরার চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয় ওয়ানডে শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা ১টা ১৫ মিনিটে।
শুক্রবার লিটন (৮১), এনামুল (৭৩), তামিম (৬২) ও মুশফিকুর রহিমের (৫২*) হাফসেঞ্চুরিতে ২ উইকেটে ৩০৩ রানের সৌধ গড়েও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। রাজা (১৩৫*) ও কাইয়ার (১১০) সেঞ্চুরি হতাশ করে বাংলাদেশকে। অবশ্য বাংলাদেশ দলনায়ক তামিমকে হতাশ করেন সতীর্থ ফিল্ডার ও বোলাররা। ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলছিলেন, সামগ্রিক ফিল্ডিং প্রচেষ্টা আমাদের ডুবিয়েছে। আমরা অনেক সহজ রান দিয়েছি। এ সহজ রানগুলো না দিয়ে বরং ডটবলের মাধ্যমে তাদের ওপর আরো বেশি চাপ সৃষ্টি করতে পারতাম। হারলে আপনি অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন। কিন্তু জয়ের পর সব সময়ই আমি আমাদের ভুলগুলো নিয়ে কথা বলি, মনে করিয়ে দিই। ক্যাচ ছাড়া আর বাজে ফিল্ডিং আমাদের অন্য সময়ের মতোই আজ ডুবিয়েছে।
৪৩ রানে জীবন পেয়ে ১৩৫ রান করে অপরাজিত থাকে রাজা। কাইয়া ৭৪ রানে জীবন পেয়ে ১১০ রান করেন। ২৪ রান করা লুক জঙ্গোইও জীবন পান। ক্যাচ ড্রপ নিয়ে তামিম বললেন, আমি বলে এসেছি, আমরা খুব বেশি ক্যাচ ছাড়ি এবং এজন্য কখনো না কখনো আমাদের চড়া মূল্য দিতে হবে। সম্ভবত আজ (শুক্রবার) সেই দিন। এমন ব্যাটিং উইকেটে ক্যাচ ছাড়লে আপনি কখনই ম্যাচ জিততে পারেন না। এ উইকেটে চারটি ক্যাচ ড্রপই ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে।
জিম্বাবুয়ে ছাড়াও বাংলাদেশের আরেক প্রতিপক্ষ এখন খেলোয়াড়দের চোট। প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটিং করার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েন লিটন দাস। এতে অন্তত তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার এশিয়া কাপে অংশগ্রহণও।
ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেই চোটে পড়েন নুরুল হাসান সোহান। এরপর লিটন ও শরিফুল হাসান। খানিকটা শঙ্কা আছে মুশফিককে নিয়েও। ফিজিও জানান, মুশফিক ব্যাটিংয়ের সময় বৃদ্ধাঙ্গুলিতে চোট পান। তবে পরের ম্যাচে তাকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেই।
দলের একাধিক খেলোয়াড় চোটে পড়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড জরুরি সিদ্ধান্তে ব্যাটার মো. নাঈম শেখ ও পেস বোলার এবাদত হোসেনকে জিম্বাবুয়ে পাঠিয়েছে। গতকাল দুজন ঢাকা থেকে হারারের উদ্দেশে রওনা হন। আজ হারারেতে পৌঁছবেন তারা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এ দুজন হয়তো খেলবেন না, তবে তৃতীয় ম্যাচের জন্য তাদের বিবেচনা করতে পারে ম্যানেজমেন্ট।
জিম্বাবুয়ে রওনা হওয়ার আগে এবাদত বলে গেলেন, ওয়ানডেতে দল হিসেবে আমরা খুবই ভালো। ২-১টা ম্যাচ খারাপ হলে আমরা দল হিসেবে খারাপ? আমরা দল হিসেবে ভালো। আমরা বাকি দুটি ম্যাচ জিতলে সিরিজ তো আমাদেরই।
