ব্যাংকের পর ঋণ পরিশোধে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) গ্রাহকদেরও ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি ও সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির নিরিখে এ ছাড় দেয়া হয়েছে। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে জারীকৃত প্রজ্ঞাপনে এ ছাড় দেয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২২ হিসাববর্ষের প্রতি ত্রৈমাসিক শেষে ঋণ, লিজ বা বিনিয়োগের আদায়যোগ্য অর্থের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ত্রৈমাসিকের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে আদায় হলে ওই ঋণকে অশ্রেণীকৃত হিসেবে দেখানো যাবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রাহকের নগদ প্রবাহ নিবিড়ভাবে পর্যালোচনান্তে শুধু প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এ নির্দেশনার আওতায় কিস্তি বিলম্বিতকরণের সুবিধা প্রদান করবে।
এতে বলা হয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক চিহ্নিত বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলোয় সিএমএসএমই ও কৃষি খাতে বিতরণকৃত ঋণের ক্ষেত্রে ২০২২ হিসাববর্ষের প্রতি ত্রৈমাসিক সমাপনান্তে আদায়যোগ্য অর্থের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ত্রৈমাসিকের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে আদায় হয়ে থাকলে ওই ঋণগুলো বিরূপমানে শ্রেণীকরণ করা যাবে না। তবে গ্রাহকরা প্রকৃতই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কিনা তা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো স্বীয় উদ্যোগে নিশ্চিত হবে।
প্রজ্ঞাপনের আওতায় সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের ওপর ২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের জন্য কোনো দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি, চার্জ বা কমিশন (যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আরোপ করা যাবে না। প্রতি ত্রৈমাসিকের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে কোনো ঋণগ্রহীতা এ নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ঋণ হিসাব যথানিয়মে শ্রেণীকরণ করে সিআইবিতে রিপোর্ট করতে হবে।
ঋণ হিসাবের ওপর আরোপিত সুদ বা মুনাফা প্রকৃত আদায় সাপেক্ষে আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।