মুনাফায় ফিরতে শুরু করেছে মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক মরগান স্ট্যানলি। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ব্যাংকটির মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ শতাংশ বেড়েছে। এ প্রবৃদ্ধির জন্য ব্যাংকটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ব্যবসায় বড় উল্লম্ফনের কথা বলছে। পাশাপাশি বিনিয়োগ ব্যাংকিং শাখাও কাজের পরিমাণ বাড়িয়েছে, কারণ ওয়াল স্ট্রিট পূর্ণ উদ্যমে চলতে শুরু করেছে। খবর এপি।
গত বুধবার নিউইয়র্কভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, গত বছরের শেষ প্রান্তিকে তাদের মোট আয় ছিল ৩৭০ কোটি ডলার। এ সময় শেয়ারপ্রতি আয়ের পরিমাণ ছিল ২ দশমিক শূন্য ১ ডলার। ২০২০ সালের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ দশমিক ৮১ ডলার। সে সময় মোট আয় ছিল ৩৩৯ কোটি ডলার। এক বছরের ব্যবধানে মুনাফার এ প্রবৃদ্ধি বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসকেও ছাড়িয়ে গেছে।
আয়ের পরিসংখ্যানে ব্যাংকটি জানিয়েছে, খরচের তালিকার বড় অংশজুড়ে রয়েছে উচ্চ মজুরি ও সুবিধা ব্যয়। বড় সব ব্যাংকই সেরা কর্মী বেছে নেয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের তরুণ ও প্রতিভাবান ব্যাংকারদের নিজেদের প্রতিষ্ঠানে টানতে বড় অংকের বেতন ও সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ফলে এ খাতে বেশ বড় ব্যয় হয়ে যাচ্ছে ব্যাংকগুলোর।
ব্যাংকের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে এক বৈঠকে মরগান স্ট্যানলির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী গোল্ডম্যান স্যাকসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, সব ক্ষেত্রেই মজুরির উচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখা গেছে। ভালো কর্মীদের নিজেদের প্রতিষ্ঠানে টিকিয়ে রাখতে উচ্চ বেতন দিতেই হয়। অর্থাৎ মরগান স্ট্যানলি বা গোল্ডম্যান স্যাকস, সবাই একই অবস্থার মধ্যে রয়েছে। পুরো বছরের জন্য উচ্চ বেতনের কর্মীদের মজুরি বাবদ মরগান স্ট্যানলি ২ হাজার ৪৬০ কোটি ডলার বরাদ্দ রেখেছে, যা গত বছরের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি।
বিনিয়োগ ব্যাংকিংয়ের রাজস্ব বেড়েছে, কারণ প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন লেনদেনের জন্য ওয়াল স্ট্রিটে যেতে শুরু করেছে। অন্যদিকে মরগান স্ট্যানলির সম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতটি বেশ লাভজনক অবস্থায় পৌঁছেছে। এক বছর আগের সঙ্গে তুলনা করলে এ খাতে রাজস্ব বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। গত বছর বেশকিছু বড় অধিগ্রহণের কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে রয়েছে সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ইটন ভান্স কিনে নেয়া। এছাড়া এর আগের বছর অনলাইন ব্রোকারেড ফার্ম ই-ট্রেড কিনে নেয়াও ছিল লাভজনক বিনিয়োগ।