নেপাল-ভুটানের জলবিদ্যুতে উপকৃত হতে পারে ঢাকা-দিল্লি —প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নেপাল ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করে ঢাকা দিল্লি উপকৃত হতে পারে। কারণ তা হবে সবুজ সস্তা।

গণভবনে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে শেখ হাসিনা কথা বলেন। পরে তাদের মধ্যকার আলোচনা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব জানান, নেপাল ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করে উভয় দেশই উপকৃত হতে পারে বলে বৈঠকে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সময় কভিড-১৯ মহামারীর ধকল সামলে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থার দিকে ফিরছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। 

মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বন্দিদশার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, সে সময় ভারতীয় স্বীকৃতি তাদের অভিভূত করেছে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ এখন বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। এছাড়া যেখানে গ্রিড লাইন নেই, সেখানে সরকার সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।

সময় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন। প্রধানমন্ত্রীও ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

মহামারীর ধাক্কা সামলে ভারত স্বাভাবিক পরিস্থিতির দিকে ফিরছে জানিয়ে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা সময় কভিডকালেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন।

আসন্ন ৫০তম বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে আমন্ত্রণ জানানোয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে একে বন্ধুত্বের বিশেষ বন্ধন হিসেবে উল্লেখ করেন হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। তিনি বলেন, ভারত বিশ্বজুড়ে নিজ মিশনগুলোয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ ভারতের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকী পালন করবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর স্থানীয় জনগণের মধ্যেও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরা হবে।

সময় কভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে জাতিসংঘে ভারত বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি যৌথ ছবির প্রদর্শনী করবে বলে আশা প্রকাশ করেন হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।

সীমান্ত প্রসঙ্গে আলোচনার সময় বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের ছোটখাটো বিষয়গুলো বাংলাদেশের বিজিবি ভারতের বিএসএফের মধ্যে বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমরা চাই সমস্যার সমাধান হোক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এতে সম্মতি দিয়েছেন বলে প্রেস সচিব জানিয়েছেন।

আলোচনায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শিলিগুড়ি-পার্বতীপুর, ঢাকা-শিলিগুড়ি ঢাকা-জলপাইগুড়ি রেল যোগাযোগ পুনরায় চালু করার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।

সময় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা অশোক মল্লিক এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব . আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন