প্রথমবারের মতো দেশের রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলভুক্ত (ইপিজেড) কারখানা পরিদর্শন শুরু করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অধীনস্থ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডাইফ)। গত বৃহস্পতিবার এ কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে অবস্থিত উত্তরা ইপিজেডের কয়েকটি কারখানা পরিদর্শন করা হয়। এর মাধ্যমে ইপিজেডের কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের সার্বিক নিরাপত্তাসহ অন্যান্য পর্যবেক্ষণ শুরু করল সরকারি কোনো সংস্থা।
মূলত দেশের রফতানিমুখী শিল্পায়নকে এগিয়ে নিতে আশির দশকের প্রথমদিকে যাত্রা করে ইপিজেড। শুরু থেকেই ইপিজেডে স্থাপিত কারখানায় শ্রমিকের নিরাপত্তা তদারকি ও পর্যবেক্ষণের কাজ হতো স্বতন্ত্র অধ্যাদেশের মাধ্যমে। যার ব্যবস্থাপনা করত বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। তবে ২০১৯ সালে এ অধ্যাদেশে পরিবর্তন আসে, যা অনুসরণ করে চলতি মাসে প্রথমবারের মতো ইপিজেডের কারখানায় পরিদর্শন শুরু করে ডাইফ।
এর অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতি ও শনিবার উত্তরা ইপিজেডের দুটি দেশী ও দুটি বিদেশী, মোট চারটি কারখানা পরিদর্শন করেন ডাইফের পরিদর্শক দলের সদস্যরা। এ পরিদর্শন দলে ছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ।
প্রথমবারের পরিদর্শনের প্রথম দিন উত্তরা ইপিজেডের সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও ম্যাজেন (বাংলাদেশ) ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শন করা হয়। এরপর শনিবার পরিদর্শক দলটি যায় দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ও ভেনচুরা লেদার ওয়্যার এমএফওয়াই (বিডি) লিমিটেডে। এ সময় কারখানাগুলোর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময়, ইপিজেডের মেডিকেল সেন্টার, সিকিউরিটি ব্যারাক, সংশ্লিষ্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শন করা হয়।
বেপজার আওতায় দেশে ইপিজেডের সংখ্যা বর্তমানে আটটি। এসব ইপিজেডে মোট কারখানার সংখ্যা চার শতাধিক। কারখানাগুলোতে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা পাঁচ লাখেরও বেশি কর্মী। ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি জারি হয় বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম অধ্যাদেশ, ২০১৯। যেখানে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ডাইফকে পরিদর্শনের ক্ষমতা দেয়া হয়। গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়া অধ্যাদেশটির তিনটি ধারার (ধারা ১৬৮-১৭০) মূল বিষয় ছিল ইপিজেডের কারখানাগুলোর শ্রম নিরাপত্তা মান পরিদর্শনের কর্তৃত্ব, শ্রম কল্যাণে মালিক-ক্রেতা ও শ্রমিকের অংশগ্রহণে তহবিল গঠন এবং শ্রম সংঘ গঠনের সদস্যসীমা-সংক্রান্ত।
