করোনাভাইরাস

আজ ৪০ জনের মৃত্যু

বণিক বার্তা অনলাইন

দেশে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় প্রবাহ চলছে মার্চ থেকে। এর মধ্যে শনিবার প্রথমবারের মতো ভাইরাসটির ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আজ ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এসব মৃত্যু  ঘটে। একই সময়ে দেশের ১ হাজার ১৪০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।  

সর্বশেষ শনাক্তসহ দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩৯৭ । সর্বশেষ ৪০ জনসহ বাংলাদেশে মোট মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার ৪৫ জনে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সর্বশেষ বাড়ি ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ২ হাজার ৯২৮ জন করোনা রোগী সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৮ হাজার ২৪৯ জনে।

আজকের বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৪৫৪ টি ল্যাবরেটরিতে ১৫ হাজার ২৯৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

মারা যাওয়াদের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী। এদের ৩ জন বাসায় মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়া ১২ হাজার ৪৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৮ হাজার ৭২৬ জন এবং নারী ৩ হাজার ৩১৯ জন। 

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২০ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১১, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৪ এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৪ জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে শতাধিক দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে গত বছরের ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর মৃত্যুর খবর জানায় সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম ও মৃতের সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৭তম স্থানে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু করে সরকার।

গত মার্চে সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হলে ২৯ মার্চ বেশকিছু বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার। প্রথমবারের চেয়ে দ্বিতীয়বারের সংক্রমণের তীব্রতা খুব বেশি। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যুর খবর আসে গত ১৯ এপ্রিল। সে সময় টানা চারদিন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল একশর ওপরে।

দেশে করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর গত ২৭ এপ্রিল রোগীর সংখ্যা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে ৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যু হয়। আর চলতি বছরের ১ মে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন