একটি ভালুকের মাথার ড্রইং এঁকেছিলেন লিওনার্দো দা ভিঞ্চি। কিছুদিনের মধ্যে সেটি নিলামে হাজির করবে ব্রিটিশ অকশন হাউজ ক্রিস্টি’জ। ছবিটির শিরোনাম ‘হেড অব আ বিয়ার’। ছবিটি নিলামে তোলার আগে নিউইয়র্ক ও হংকংয়ে প্রদর্শিত হবে। ধারণা করা হচ্ছে, ছবিটি নিলামে ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ডে বিক্রি হবে।
ক্রিস্টি’জের নিউইয়র্ক অফিসের ওল্ড মাস্টার পেইন্টিং বিভাগের প্রধান বেন হল ড্রইংটি সম্পর্কে বলেছেন, ‘এটা এখনো ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা রেনেসাঁ আমলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর একটি।’
বেন হল আরো বলেন, ভিঞ্চির এ ড্রইং ওল্ড মাস্টারদের কাজ সংগ্রহের ক্ষেত্রে দুনিয়ায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সংগ্রাহকদের হাতে ছিল কয়েক শতাব্দী ধরে। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, ১৮৩০ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছবিটির মালিকানা ছিল ব্রিটিশ চিত্রশিল্পী থমাস লরেন্সের। এরপর এটি যায় ডিলার স্যামুয়েল উডবার্নের কাছে। তিনি এটা মাত্র আড়াই পাউন্ডে বিক্রি করেছিলেন ক্রিস্টি’জের কাছে ১৮৬০ সালে। বর্তমান সংগ্রাহকের কাছে ছবিটি আছে ২০০৮ সাল থেকে।
বিভিন্ন সময় যখন বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ জাদুঘরগুলোতে এর প্রদর্শনী হয়েছে তখন সমঝদাররা এটির খুব প্রশংসা করেছেন। এ মৌসুমে লিওনার্দোর কাজটি বাজারে আনতে পেরে ক্রিটি’জ গর্বিত।
হেড অব আ বিয়ার ড্রইংটি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ৭ সেন্টিমিটার করে। মলিন হয়ে আসা পিংক-বিজ কাগজে এটা একটা সিলভারপয়েন্ট ড্রইং। ছবির নিচের দিকে লিওনার্দো দা ভিঞ্চের স্বাক্ষরও আছে। এর আগে ছবিটি লন্ডনের ন্যাশনাল গ্যালারিতে প্রদর্শিত হয়েছে। ২০১১ ও ২০১২ সালে লিওনার্দো দা ভিঞ্চি-বিষয়ক প্রদর্শনীতে ছবিটি প্রদর্শিত হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, এটি ২০০১ সালে ভিঞ্চির ‘হর্স অ্যান্ড রাইডার’-কে নিশ্চিতভাবেই ছাড়িয়ে যাবে। এটি বিক্রি হয়েছিল ৮০ লাখ পাউন্ডে। ক্রিস্টি’জের আশা, ‘হেড অব আ বিয়ার’
সংগ্রহমূল্যের নতুন রেকর্ড গড়বে। ক্রিস্টি’জের প্যারিস অফিসের ওল্ড মাস্টারস গ্রুপের আন্তর্জাতিক বিভাগপ্রধান অ্যালসটিনস বলেছেন, ‘এটা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে যে জুলাইয়ে হেড অব আ বিয়ার নতুন রেকর্ড তৈরি করবে। এটা বাজারে আসতে যাওয়া লিওনার্দোর শেষ ড্রইংগুলোর একটি।’
‘হেড অব আ বিয়ার’
নিলামে উঠবে আগামী ৮ জুলাই। এর আগে ১ থেকে ৬ জুন প্রদর্শিত হবে লন্ডনে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান ও ডেইলি মেইল