ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে আজ সুযোগ পেয়ে রানের পাহাড় গড়ার চেষ্টা করেনি শ্রীলংকা। ৭ উইকেটে ৪৯৩ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। জবাব দিতে নেমে ২৫১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। বাঁহাতি স্পিনার প্রবীন জয়াবিক্রমা একাই ছয় উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দেন অতিথি দলকে। ২৪২ রানের বিশাল লিড পেয়েও বাংলাদেশকে ফলো-অন করায়নি সিংহলিজরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫ রানের মধ্যেই শ্রীলংকার ২ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। ২ উইকেটে ১৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিন মাঠ ছাড়ে লংকানরা। দিমুথ করুণারত্নের দলের লিড এখন ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ২৫৯ রান।
প্রথম ইনিংসে পাঁচশ ছোঁয়া সংগ্রহের পর শ্রীলংকার কর্তৃত্ব সুনিশ্চিত করেন ২২ বছর বয়সী স্পিনার জয়াবিক্রমা। অভিষেক টেস্টেই পাঁচের অধিক উইকেট শিকারের গৌরব দেখালেন তিনি। নিয়েছেন ৯২ রানে ৬ উইকেট, যা টেস্ট অভিষেক কোনো শ্রীলংকান বোলারের সেরা বোলিং ফিগার। আগের সেরা উপুল চন্দনার ১৭৯ রানে ৬ উইকেট, যা ১৯৯৯ সালে করেছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে।
বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল ও মিডল অর্ডারে ভরসার নাম মুশফিকুর রহিমের উইকেট শিকার করেন জয়াবিক্রমা। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯২ রান করেন তামিম। এ নিয়ে লংকা সফরে টানা তিন ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি পেলেন তিনি। এছাড়া মুমিনুল হক করেন ৪৯ রান।
জয়াবিক্রমার ঘূর্ণির মুখে মাত্র ৩৭ রানের মধ্যে শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। এরপর বাংলাদেশকে ফলো-অন না করিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে লংকানরা। লিডটা বড় করার মিশনে ১৫ রানের মধ্যে তারা হারায় লাহিরু থিরিমান্নে ও ওশাদা ফার্নান্দোর উইকেট। উইকেট দুটি নেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।
করুণারত্নে ১৩ ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ১ রানে অপরাজিত থেকে কাল ফের ব্যাটিংয়ে নামবেন। শ্রীলংকাকে দ্রুতই অলআউট করতে না পারলে হয়তো বড় টার্গেটের মুখেই পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ।