মহামারী করোনা (কভিড-১৯) সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় ৫৭২ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০০ পরিবারের মধ্যে এ আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
গতকাল তথ্য অধিদপ্তরের এক তথ্য বিবরণীতে বিষয়টি জানানো হয়।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, কভিড-১৯-এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে চলাচল সীমিতকরণের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে কর্মহীন মানুষের মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সরকার ৫৭২ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়। প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০০ পরিবারকে এ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
তথ্য অধিদপ্তর জানায়, ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সারা দেশের ৬৪টি জেলার ৪৯২টি উপজেলার জন্য ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ২০৩টি কার্ড এবং ৩২৮টি পৌরসভার জন্য ১২ লাখ ৩০ হাজার ৭৪৬টি কার্ডসহ মোট ১ কোটি ৯ হাজার ৯৪৯টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে ৪৫০ কোটি ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। পরিবারপ্রতি ১০ কেজি চালের সমমূল্য অর্থাৎ কার্ডপ্রতি ৪৫০ টাকা হারে আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে উপজেলাগুলোর জন্য ৩৯৫ কোটি ৬ লাখ ৪১ হাজার ৩৫০ টাকা এবং পৌরসভাগুলোর জন্য ৫৫ কোটি ৩৮ লাখ ৩৫ হাজার ৭০০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
তথ্য বিবরণীতে আরো জানানো হয়, কভিড পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারকে তাত্ক্ষণিকভাবে খাদ্যসহায়তার জন্য ১২১ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলার ৪ হাজার ৫৬৮টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা হারে মোট ১১৪ কোটি ২০ লাখ টাকা মানবিক সহায়তা হিসেবে প্রদানের জন্য এ অর্থ ছাড় করা হয়। সারা দেশের ৩২৮টি পৌরসভার অনুকূলে মোট ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে এ ক্যাটাগরির প্রতিটি পৌরসভার জন্য ২ লাখ টাকা, বি ক্যাটাগরির জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং সি ক্যাটাগরির জন্য ১ লাখ টাকা হারে বরাদ্দ দেয়া হয়। ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর, গাজীপুর এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্য ৭ লাখ টাকা হারে বরাদ্দ দেয়া হয়। ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল এবং সিলেট সিটি করপোরেশনে ৫ লাখ টাকা হারে বরাদ্দ দেয়া হয়। এছাড়া দেশের ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসকের অনুকূলে এ ক্যাটাগরির জন্য ২ লাখ, বি ক্যাটাগরির জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার এবং সি ক্যাটাগরির জন্য ১ লাখ টাকা হারে মোট ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।