ওয়ানডের পর এবার টি২০ সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। অকল্যান্ডের এডেন পার্কে আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি২০ ম্যাচে বৃষ্টির কারণে ছোট হয়ে আসা ১০ ওভারের লড়াইয়ে ৬৫ রানে হেরেছে সফরকারীরা। তাই নিউজিল্যান্ড থেকে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে।
আগে ব্যাটিং করে ১০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪১ রানের সৌধ গড়ে নিউজিল্যান্ড। ৬০ বলে ১৪২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ৭৬ রানে গুটিয়ে যায়, তখনো তিন বলের খেলা বাকি। বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ১০ বলের বেশি খেলতে পেরেছেন শুধু মোহাম্মদ নাইম শেখ। ১৩ বলে ১৯ রান করেছেন তিনি দুই ছক্কা ও এক চারে। নাইম ছাড়া অন্য যে দুজন দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন তারা হলেন মোসাদ্দেক হোসেন (১৩) আর সৌম্য সরকার (১০)। স্পিনার টড অ্যাস্টল ১৩ রানে ৪টি ও পেসার টিম সাউদি ১৫ রানে ৩টি উইকেট নেন।
বিশাল টার্গেটে বাংলাদেশ আগ্রাসী সূচনা করে। কৌশলটা হয়তো ঠিকই ছিল হয়তো, যদিও নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারানোয় জয়ের সুযোগ তাদের কখনই আসেনি কিংবা নিউজিল্যান্ডের বোলাররা তাদের সেই সুযোগ দেয়নি।
নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরাই মূলত ম্যাচের ভাগ্য আগেই নির্ধারণ করে ফেলেন। ২৯ বলে ৭১ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা পারফর্মার ফিন অ্যাল্লেন, যিনি ১০টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মেরেছেন তিনটি। মার্টিন গাপটিলকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে মাত্র ৩৪ বলে ৮৫ রান তুলে পাহাড়সম সংগ্রহের ভিড় গড়ে দেন তিনি। এ ম্যাচে অ্যাল্লেনের বীরত্বের কাছেই হেরেছে বাংলাদেশ।
মাহমুদউল্লাহর অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেয়া লিটন দাস ম্যাচ শেষে বললেন, ব্যাটিং ও ফিল্ডিংয়ে আমরা মোটেও ভালো করিনি, যার মূল্য দিতে হয়েছে আমাদের। আমরা উপমহাদেশের উইকেটে খেলে অভ্যস্ত, তবে নিউজিল্যান্ডের মতো বাউন্সি উইকেটে কীভাবে খেলতে হয়, সেটিও আমাদের ভাবা উচিত। কন্ডিশন ও উইকেট সম্পর্কে আমরা শিখছি আর শিখছি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ১০ ওভারে ১৪১/৪ (অ্যাল্লেন ৭১, গাপটিল ৪৪; শরিফুল ১/২১, তাসকিন ১/২৪)। বাংলাদেশ: ৯.৩ ওভারে ৭৬ (নাইম ১৯, মোসাদ্দেক ১৩; অ্যাস্টল ৪/১৩, সাউদি ৩/১৫)। ফল: নিউজিল্যান্ড ৬৫ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা: ফিন আল্লেন (নিউজিল্যান্ড)। সিরিজ: নিউজিল্যান্ড ৩-০তে জয়ী। ম্যান অব দ্য সিরিজ: গ্লেন ফিলিপস (নিউজিল্যান্ড)।