ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি

ভোটাভুটিতে পক্ষে রায় দিল সুইসরা

বণিক বার্তা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ভোটাভুটিতে এর পক্ষে রায় দিয়েছেন সুইসরা। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম জনবহুল দেশটির সঙ্গে ইউরোপের ধনী দেশটির মুক্ত বাণিজ্যের পথ সুগম হলো এবং সুইজারল্যান্ডের জন্য বিশাল এক বাজারের সম্ভাবনাও তৈরি হলো। খবর সিএনএ।

ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল আমদানি নিয়েই মূলত সুইজারল্যান্ডে বিতর্ক চলছিল। এর পরিবেশগত দিক আর স্থায়িত্ব নিয়ে সুইসদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। সেই উত্কণ্ঠা থেকেই গণভোটের আয়োজন করা হয়। গণভোটে ৫১ দশমিক শতাংশ ভোট পড়ে চুক্তির পক্ষে, আর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন দেশটির ৫১ শতাংশ নাগরিক।

ফলাফলে চুক্তির পক্ষে থাকা সমর্থকরা স্বস্তি প্রকাশ করলেও তারা বলেছেন, ভবিষ্যতে এমন কোনো বাণিজ্য চুক্তির ক্ষেত্রে যদি ভোটাভুটি হয়, তবে তারা পরিবেশগত বিষয় নিয়ে আরো বেশি সংবেদনশীল থাকবেন।

চুক্তির পর ইন্দোনেশিয়ার বাজারে প্রবেশ করা অধিকাংশ সুইস পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক তুলে নেয়া হবে। অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়ান শিল্পপণ্যের ওপর থেকে শুল্ক তুলে নেবে সুইজারল্যান্ড। তবে যেকোনো কাউকেই ইন্দোনেশিয়ান পাম অয়েল আমদানির ক্ষেত্রে অবশ্যই পরিবেশগত আর সামাজিক মান নিশ্চিত করতে হবে।

চুক্তিটি ২০১৮ সালে স্বাক্ষরিত হয় আর সুইস সংসদে পাস হয়ে যায় পরের বছর। কিন্তু বিরোধী দল বার্ন সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করে, বিশেষ করে পাম অয়েলের ওপর থেকে শুল্ক কমানোর বিরুদ্ধে তারা সোচ্চার হলে বিষয়টি মীমাংসার জন্য ভোটাভুটিতে গড়ায়।

চুক্তির উদ্দেশ্য হলো, ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত করা। বিশাল জনগোষ্ঠীর দেশটি হবে সুইসদের জন্য লাভজনক এক বাজার। ২০২০ সালে তারা দেশটিতে ৫৪ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছে। সুইজারল্যান্ড একটি রফতানিপ্রধান দেশ, যাদের জাতীয় আয়ের অর্ধেকেরও বেশি আসে বিদেশ থেকে। অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়া একটি বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ, যেখানে প্রচুরসংখ্যক মধ্যবিত্তের জন্ম নিচ্ছে এবং এরাই সুইস ফার্মগুলোর জন্য সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন