পূর্বাচলে কূটনৈতিক জোন হতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাহিদার বিপরীতে জমি না থাকায় পূর্বাচলে কূটনৈতিক জোন করার প্রয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কে আব্দুল মোমেন। গতকাল জাতীয় সংসদে জামালপুর- আসনের সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলেন। এর আগে স্পিকার . শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের শুরুতেই প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বারিধারা কূটনৈতিক এলাকায় সব দূতাবাস বা হাইকমিশন অফিস স্থানান্তরের জন্য কয়েকটি দূতাবাস বা হাইকমিশন কর্তৃক জমির চাহিদা রয়েছে। তবে জমির অপ্রতুলতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্যাপারে গৃহায়ন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউকসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় চলছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অদ্যাবধি ১০টি বিদেশী দূতাবাস কর্তৃক প্লটের আবেদন প্রক্রিয়াধীন। বিশেষত ব্রাজিল, শ্রীলংকা, ওমান, কুয়েত, মিয়ানমার আফগানিস্তান তাদের দূতাবাস স্থাপনের সূচনালগ্ন থেকেই বিষয়ে অনুরোধ জানিয়ে আসছে। এছাড়া ঢাকায় অবস্থিত ৫০টি কূটনৈতিক মিশনের মধ্যে যারা বরাদ্দপ্রাপ্ত অথবা নিজস্ব ক্রয়কৃত জমি ব্যবহার করছে না, তারাও আগ্রহ প্রকাশ করতে পারে মর্মে এরই মধ্যে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। রাজউক থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে এরই মধ্যে একটি কূটনৈতিক জোন করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে নানামুখী উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান, ফলে ঢাকা শহর চারদিকে দ্রুতগতিতে প্রসারমাণ। এদিকে দূতাবাস স্থাপনের জন্য নতুন নতুন চাহিদার বিপরীতে ঢাকার গুলশান বারিধারা কূটনৈতিক জোনে পর্যাপ্ত জমির সংকুলান করা অতি দুরূহ। অবস্থায় পূর্বাচলে দূতাবাস স্থাপনের জন্য নির্ধারিত কূটনৈতিক জোন গড়ে তোলা প্রয়োজন হতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন