দেশে গতকাল করোনা রোগী শনাক্তের হার ছিল ৫ শতাংশের নিচে। দৈনিক নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের এ হার ৪০ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরো ৫৭৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ২১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৫ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। ৬ এপ্রিল শনাক্তের হার তা বেড়ে ৭ শতাংশের ওপরে চলে যায়। পরের মাসে শনাক্তের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে শনাক্তের হার কমতে থাকে। চলতি বছরের ১২ জানুয়ারিতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৫ শতাংশ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় তা আরো কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশে। গতকাল ৫৭৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা ৩৭ সপ্তাহে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২ মে সর্বনিম্ন ৫৫২ জন করোনা পজিটিভ হয়েছিল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৫টি আরটি-পিসিআর, ২৮টি জিন-এক্সপার্ট ও ৫৬টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষাগারে ১২ হাজার ২১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গতকালের শনাক্তসহ এ পর্যন্ত দেশে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৬৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
গতকাল নতুন করে আরো ২১ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে কারোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৭ হাজার ৮৮৩।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ এবং ৮ জন নারী। তাদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বয়স বিবেচনায় এদের ১২ জন ষাটোর্ধ্ব। বাকিদের মধ্যে চারজন ৫১ থেকে ৬০, তিনজন ৪১ থেকে ৫০ এবং একজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। মৃতদের মধ্যে ১৩ জন ঢাকা বিভাগের, ছয়জন চট্টগ্রাম এবং দুজন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫ হাজার ৯৭৬ জন পুরুষ এবং ১ হাজার ৯০৭ জন নারী।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর শতাধিক দেশে ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে গত বছরের ১১ মার্চ কভিড-১৯-কে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল পর্যন্ত বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৩৯ লাখ। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২০ লাখ ১১ হাজার মানুষের।