ডোপ টেস্টে মিলেছে মাদকের অস্তিত্ব

কুষ্টিয়ায় ৮ পুলিশ সদস্য চাকরিচ্যুত

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ায় ডোপ টেস্টে মাদকের অস্তিত্ব পাওয়ায় আট পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। একই অভিযোগে সার্জেন্টসহ আরো দুজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। গত দেড় বছরে ১১ জন পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করানো হয়। এর মধ্যে নয়জনের শরীরে মাদকের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা হলেন এসআই হামিদুর রহমান, এসআই নাজিম উদ্দিন, এএসআই জাহাঙ্গীর আলম, এএসআই নাঈম মাহমুদ, কনস্টেবল বিপ্লব হোসেন, সাইফুল ইসলাম, কনস্টেবল নাহিদ হাসান, কনস্টেবল মাজহারুল ইসলাম। এছাড়া ডোপ টেস্টে পজিটিভ রিপোর্ট আসা আরো দুজনকে চাকরিচ্যুত করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্ট সৈয়দ আরাফাত আলীসহ অন্য দুজনের বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। এর পরই তাদের ডোপ টেস্টের আওতায় আনা হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে আটজনের শরীরে মাদকের অস্তিত্ব পাওয়ায় তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। এছাড়া আরো দুজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্তে মাদকের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদেরও চাকরিচ্যুত করা হবে।

পুলিশ সুপার জানান, মাদক সেবন কেনাবেচার ব্যাপারে বাংলাদেশ পুলিশ শূন্য সহিষ্ণুতা ঘোষণা করেছে। এরই অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নিয়মিত ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের মে মাসে প্রথম একজন এসআইয়ের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের বিষয়টি জানার পর পরীক্ষা করা হয়। এরপর একই বছরের ২৭ জুলাই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সবশেষ চলতি বছরে ২৮ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া ট্রাফিকে কর্মরত এক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন