দেউলিত্বের মুখে ইউরোপের ২০০ বিমানবন্দর!

বণিক বার্তা অনলাইন

বছরের শেষ দিকে উড়োজাহাজে যাত্রীদের সংখ্যা পুনরুদ্ধার না হলে আগামী মাসগুলোতে ইউরোপের প্রায় ২০০ বিমানবন্দর দেউলিয়া হওয়ার মুখোমুখি হবে বলে জানিয়েছে ইউরোপের বিমানবন্দর সংস্থা এসিআই। আজ মঙ্গলবার সংস্থাটি জানিয়েছে, আনুমানিক ১৯৩টি ইউরোপীয় হাবকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দর’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। 

সংস্থাটির মতে, এই বিমানবন্দরগুলো ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষের চাকরি ও ইউরোপীয় জিডিপিতে ১ হাজার ৪৬৬ কোটি ডলারের অবদান রাখে। 

এসিআই’র একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ঝুঁকির মুখে থাকা এগুলো মূলত ছোট ও আঞ্চলিক বিমানবন্দর। বিমানবন্দরগুলো দিয়ে প্রতিবছর ৫০ লাখেরও কম যাত্রী ভ্রমণ করে। তবে এগুলো বন্ধ হয়ে গেলে স্থানীয় কর্মক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়বে।

এসিআই জানিয়েছে, বড় বড় ইউরোপীয় বিমানবন্দরগুলো অস্থিতিশীল হারে নগদ অর্থ হারাচ্ছে। শীর্ষ ২০টি ইউরোপী বিমানবন্দর ১ হাজার ৮৯১ কোটি ডলার ঋণের মধ্যে পড়েছে। এটা সাধারণ বছরে তাদের আয়ের প্রায় ৬০ শতাংশের সমান। 

এসিআই ইউরোপের পরিচালক অলিভিয়ার জঙ্কোভেক এক বিবৃতিতে বলেছেন, আজ প্রকাশিত পরিসংখ্যানগুলো একটি নাটকীয় বর্ণহীন ছবি এঁকেছে। গত ৮ মাস ধরে সঙ্কটের মধ্যে ইউরোপের সমস্ত বিমানবন্দরকে নগদ অর্থ ব্যয় করে খোলা রাখতে হচ্ছে। মূলধন তো দূরে থাক, আয়ের তুলনায় পরিচালনা ব্যয়ই অনেক দূরে। 

এসিআইয়ের তথ্যে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বরে ইউরোপীয় বিমানবন্দরগুলোতে যাত্রী সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। সংখ্যার হিসাবে বিমানবন্দরগুলো ওই সময়ে ১৭ কোটি ২৫ লাখ যাত্রী হারিয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারির পর থেকে হারিয়ে যাওয়া যাত্রীর সংখ্যা মোট ১২৯ কোটি। অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যাত্রীদের সংখ্যা ৭৫ শতাংশ কমে গেছে। এটা একটি স্পষ্ট নিম্নমুখী প্রবণতা।

ইউরোপজুড়ে মোট ৭৪০টি বিমানবন্দরের মধ্যে এসিআই ৫০০টিরও বেশি বিমানবন্দরের প্রতিনিধিত্ব করে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন