মহামারীর প্রেক্ষাপটে চলতি বছরের আগস্টে ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় মালয়েশিয়ার রফতানির ২ দশমিক ৯ শতাংশ পতন হয়ে ৭ হাজার ৯১৪ কোটি রিঙ্গিত বা ১৯০ কোটি ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে রফতানির পতন হয়েছে দেশটির প্রায় সব খাতেই। খবর সিনহুয়া।
মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগস্টে দেশটির শিল্পজাত পণ্যের রফতানি পতন হয়েছে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। এর মূলে রয়েছে লোহা, কেমিক্যাল ও কেমিক্যাল পণ্য ম্যানুফ্যাকচারারদের রফতানি কমে যাওয়া। এদিকে মাসটিতে দেশটির কৃষিপণ্যের রফতানি কমেছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। এ সময়ে কমেছে কাঠ, ঢালাই পণ্য ও প্রাকৃতিক রাবারের রফতানি। তাছাড়া তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের পাশাপাশি খনিজ পণ্যের রফতানি কমেছে ২৫ দশমিক ৯ শতাংশ।
ফলে আগস্টে সব মিলিয়ে বাণিজ্যের ৪ দশমিক ৬ শতাংশ পতন হয়ে ৩ হাজার ৪৮ কোটি ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে। আমদানি শিপিং ৬ দশমিক ৫ শতাংশ পতন হয়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৮১ কোটি ডলারে। তবে এ সময়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে চীনের বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়েছে। এ বাণিজ্য বছরওয়ারি ৪ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬৫৬ কোটি ডলার।
এ নিয়ে টানা তিন মাস চীনে মালয়েশিয়ার রফতানি প্রবৃদ্ধি ডাবল ডিজিটে অবস্থান করেছে। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ২০ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩৫ কোটি ডলারে। এর মূলে রয়েছে ইলেকট্রনিকস ও ইলেকট্রিক্যাল (ইঅ্যান্ডই), লোহা
ও ইস্পাতপণ্যের উচ্চরফতানি।
সোসিওইকোনমিক রিসার্স সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লি হেং গুই বলেন, সব মিলিয়ে আগস্টে মালয়েশিয়ার রফতানি কার্যক্রম পূর্ণ মাত্রায় ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। তাছাড়া এখনো দেশটির বাণিজ্য সহযোগী দেশগুলোর অর্থনীতির গতি ও শক্তি এখনো ঠিক আগের অবস্থানে ফিরে আসেনি। তার ধারণা, ২০২০ সালে মালয়েশিয়ার রফতানিতে ৫ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে।