নিজেকে মেলে ধরতে চান সাইফুদ্দিন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শ্রীলংকা সফর নিয়ে দোলাচল এখনো শেষ হয়নি। এর মাঝে শঙ্কা দেখা দিয়েছে নির্দিষ্ট সময়ে যাওয়ার বিষয়টিও। কিন্তু এসব অনিশ্চয়তার মাঝেও চলছে অনুশীলন। যেখানে নতুন করে নিজেকে ফিরে পেতে ঘাম ঝরাচ্ছেন তরুণ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের দলে নিয়মিত মুখ হলেও, টেস্টের প্রাথমিক স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছেন এই প্রথম। একাদশে সুযোগ পেলে নিজেকে মেলে ধরতে প্রত্যয়ী সাইফুদ্দিন। 

আজ বুধবার মিরপুরে অনুশীলনের ফাঁকে দীর্ঘদিন পর সেন্টার উইকেটে বল করার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে সাইফুদ্দিন বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, দীর্ঘ প্রায় ছয় সাত মাস দলের সঙ্গে মিরপুরে অনুশীলন করছি। খুবই আনন্দিত আমি। প্রথমবারের মতো সেন্টার উইকেটে বোলিং করতে পেরে উত্সাহিত আমি। আরো কিছুদিন সময় পাব, এর মাঝে কিভাবে ওভারকাম করা যায়, কিভাবে উন্নতি করা যায় তা নিয়ে কাজ করব। প্রথমবারের মতো টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা পেয়েও আনন্দিত আমি। চেষ্টা করবো নিজের সেরাটা দেয়ার।’ 

করোনাকালের কিভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন জানতে চাইলে এই বোলিং অলরাউন্ডার, ‘করোনাকালীন সময়টা আমার জন্য কঠিন ছিল। যেহেতু আমি ফেনীতে ছিলাম। ফিটনেসের কাজ করতে পেরেছি, কিন্তু স্কিলের দিক থেকে আমি অন্য খেলোয়াড়দের চেয়ে অনেক পিছিয়ে গেছি। ব্যাটিংটা তারপরও পাকা পিচে করেছি কিন্তু বোলিংটা একদমই করতে পারিনি। অবশ্য আজকেও বোলিং করলাম, গত দুদিনও বোলিং করেছি, আমার যেটা রিদম সেটা পেতে আরো সময় লাগবে। কিছুটা অস্বস্তি আছে, কিন্তু তারপরও আমি আশাবাদী। আরো কয়েকদিন যদি বল করি হয়তো আগের রূপে ফিরে আসতে পারব।’ 

ফিট থাকলে ওডিআই দলে নিয়মিত মুখ। কিন্তু টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন এই প্রথম, অনুভূতি জানতে চাইলে সাইফুদ্দিন, ‘প্রত্যেক ক্রিকেটারের স্বপ্ন থাকে টেস্ট ক্রিকেটার হওয়ার। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। ইনশাল্লাহ, চেষ্টা থাকবে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করার। এখন আমার চেষ্টা থাকবে স্কিল উন্নতি করার। আমি আমার স্কিল নিয়ে কিছুটা চিন্তিত। গত ছয় সাত মাস বোলিং ব্যাটিং ঠিকমত করতে পারিনি। আন্তর্জাতিক পরিসরে খেলার জন্য যেটা জরুরি ছিল। তারপরও এখানে এবং শ্রীলংকাতে যে সময়টা পাব তার মধ্যে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করব।’ 

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন চোট। কিন্তু তারপরও দমে যেতে চান না লোয়ার অর্ডারের আগ্রাসী এই ব্যাটসম্যান, ‘আমার সবসময় চিন্তা থাকে চোট নিয়ে। যেহেতু আমার মেজর একটা চোট আছে, ব্যাকপেইনের। আমি প্রায় ছয় সাত মাস মাঠের বাইরে ছিলাম। আবার করোনার কারণে খেলতে পারিনি। সবমিলিয়ে প্রায় এক বছরের মতো আমি মাঠের বাইরে। এখন নিজেকে যত তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনতে পারব ততই আমার জন্য ভালো। আমার লক্ষ্য থাকবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ম্যাচ ফিটনেস ফিরিয়ে আনার।’ 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন