ভারতে গণপিটুনিতে নিহতদের দুজন মৌলভীবাজারের

ভারতের আসামের করিমগঞ্জ জেলায় গণপিটুতে নিহত তিন বাংলাদেশীর মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের বাড়ি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায়। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। দুজনই পেশায় অটোরিকশাচালক।

বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গাজী শহীদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নিহত অন্য জনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

নিহত দুজন বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। এদের একজন কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে মো. নুনু মিয়া (২৮)। অন্যজন আব্দুল মানিকের ছেলে জুয়েল আহমদ (২৭)। 

নিহত জুয়েল মিয়ার বড় ভাই রুবেল মিয়া বলেন, গত শুক্রবার এক ব্যক্তি তাদের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ ছিল। সোমবার সকালে তারা জানতে পারেন নুনু মিয়া ও জুয়েল আহমদ ভারতে গিয়ে খুন হয়েছেন। তারা কী কারণে ভারতে গিয়েছিলেন সে ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।

গত শনিবার রাতে করিমগঞ্জের পাথরকান্দির বগরিজান চা বাগান এলাকা থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ভারতীয় পুলিশ। সেখানকার স্থানীয় গণমাধ্যমে পুলিশের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ওই তিন বাংলাদেশী গত শনিবার রাতে সীমান্ত পেরিয়ে করিমগঞ্জের পাথরকান্দি অঞ্চলের বগরিজান চা বাগান এলাকায় ঢুকে পড়ে। এ সময় স্থানীয় লোকজন গরুচোর সন্দেহে তাদের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে শুরু হয় মারধর। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ নিহত ওই তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন