এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে আজ একযোগে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান অর্থাৎ চিরুনি অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। গতকাল এক ভিডিও বার্তায় মেয়র আতিকুল ইসলাম এ অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন।
মেয়র জানান, আজ থেকে ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে ফের একযোগে পরিচ্ছন্নতা শুরু হবে। ১০ দিনব্যাপী এ অভিযান শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত পরিচালিত হবে। চিরুনি অভিযান পরিচালনার উদ্দেশ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। আবার প্রতিটি সেক্টরকে ১০টি সাবসেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের একটি সেক্টরে অর্থাৎ ১০টি সাবসেক্টরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। এভাবে আগামী ১০ দিনে সমগ্র ডিএনসিসিতে চিরুনি অভিযান সম্পন্ন করা হবে।
তিনি জানান, প্রতিটি সাবসেক্টরে ডিএনসিসির চারজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও একজন মশক নিধনকর্মী, অর্থাৎ প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৪০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০ জন মশক নিধনকর্মী ডিএনসিসির আওতাধীন বিভিন্ন বাড়ি, স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কোথাও এডিস মশার লার্ভা আছে কিনা, কিংবা কোথাও তিনদিনের বেশি পানি জমে আছে কিনা, অথবা ময়লা-আবর্জনা আছে কিনা, যা এডিস মশার বংশবিস্তারে সহায়ক তা পরীক্ষা করবেন। চিরুনি অভিযান চলাকালে ডিএনসিসির তিনজন কীটতত্ত্ববিদ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা দিকনির্দেশনা দেবেন। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নয়জন কীটতত্ত্ববিদ এবং ছয়জন চিকিৎসক ডিএনসিসির সঙ্গে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
আতিকুল ইসলাম জানান, চিরুনি অভিযান চলাকালে যেসব বাড়ি বা স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা কিংবা এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যাবে, তার ছবি, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য তাত্ক্ষণিকভাবে একটি অ্যাপে সংরক্ষণ করা হবে। এর ফলে চিরুনি অভিযান শেষে ডিএনসিসির কোন কোন এলাকায় এডিস মশা বংশবিস্তার করে তার একটি ডাটাবেজ তৈরি হবে। ডাটাবেজ অনুযায়ী পরবর্তী সময়েও তাদেরকে মনিটর করা হবে। চিরুনি অভিযানের সঙ্গে সঙ্গে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালিত হবে।
চিরুনি অভিযান সর্বাত্মকভাবে সফল করতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর, গণমাধ্যমকর্মী এবং ডিএনসিসির সর্বস্তরের জনগণকে আহ্বান জানান মেয়র।
