আলোকপাত

বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতের গুরুত্ব বাড়ুক

মুনতাকিম আশরাফ

সরকারের গতিশীল নেতৃত্বে গত এক দশকে দেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে, বেড়েছে গড় আয়ু। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি বেড়েছে কৃষি উৎপাদন। কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি অর্থনীতির আকার বেড়েছে, বেড়েছে বাজেটের আকার। গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের মতো ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারেনি বিশ্বের কোনো দেশ। বিগত বছরগুলোয় চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনীতির দুর্বলতাসহ এশীয় অর্থনীতির শ্লথগতির মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি ছিল ঊর্ধ্বমুখী। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল প্রথম সারিতে। গত এক দশকে বৈশ্বিক সব সূচকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ২০০৮ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দাও স্বর্নিভর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারেনি। কিন্তু বর্তমানে বৈশ্বিক মহামারী কভিড-১৯-এর কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

ভয়াবহ এই ভাইরাসের কারণে দেশে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে। একদিকে বিশাল জনগোষ্ঠী কর্মহীন। অন্যদিকে দেশে ক্রমাগত বাড়ছে বেকারত্ব। কমছে রাজস্ব আয়, কমছে রেমিট্যান্স। রফতানি আয় কমছে সমানতালে। কমছে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ। আয়-রোজগার না থাকায় সমাজের নিম্নবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষ চরম প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে দিন পার করছে। জাতির এমন ক্রান্তিকালে অর্থনৈতিক উত্তরণ ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা শিরোনামে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। 

প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। আয় ধরা হয়েছে লাখ ৬৮ হাজার ১৩ কোটি টাকা। বাজেটে অনুদান ব্যতীত ঘাটতির পরিমাণ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণ করা হয়েছে দশমিক শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যা ছিল দশমিক ১৫ শতাংশ। কিন্তু কভিড-১৯-এর প্রভাবে বিশ্বব্যাপী দীর্ঘ সময় ধরে চলা লকডাউনের কারণে রফতানি কমায় এবং প্রবাসী আয়ে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জিত না হওয়ায় চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার সংশোধন করে দশমিক শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এবারের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতকে সর্বাপেক্ষা অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪১ হাজার ২৭ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে (২০১৯-২০) খাতে বরাদ্দ ছিল ২৯ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে কভিড-১৯ মোকাবেলায় যেকোনো জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য-শিক্ষা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি খাতের গবেষণার উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকার একটি সমন্বিত স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান গবেষণা উন্নয়ন তহবিল গঠন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এবারের বাজেটে কৃষি হচ্ছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত। তৃতীয় অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা খাত। প্রস্তাবিত অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে খাতে বরাদ্দ ৭৪ হাজার কোটি টাকা থাকলেও সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ৮১ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা করা হয়। এবারের বাজেটে দারিদ্র্যপ্রবণ ১০০টি উপজেলায় সব দরিদ্র প্রবীণ ব্যক্তিকে বয়স্ক ভাতার আওতায় আনার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এতে লাখ নতুন উপকারভোগী যোগ হবে। এসব উপজেলার সব বিধবা স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে ভাতার আওতায় আনা হবে। এতে নতুন যোগ হবে আরো সাড়ে তিন লাখ উপকারভোগী। এছাড়া নতুন করে লাখ ৫৫ হাজার নতুনসহ মোট ১৮ লাখ অসচ্ছল প্রতিবন্ধীকে ভাতা দেয়া হবে। আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এই মহান উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

এছাড়া এবারের বাজেটে শিল্প উৎপাদন, এসএমই, সেবা খাত গ্রামীণ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মহীনতা এবং কর্মহীন হয়ে দেশে ফেরত আসা প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য ব্যাপক কর্মসৃজন পল্লী উন্নয়নে যথেষ্ট অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়নসহ সার্বিক মানবসম্পদ উন্নয়ন মুজিব বর্ষের প্রধান কার্যক্রম হিসেবে গৃহহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য গৃহনির্মাণকেও অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এছাড়া চলমান অর্থনৈতিক বিপর্যয় মোকাবেলা সংকট উত্তরণের নিমিত্তে এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চাল, আটা, আলু, পেঁয়াজ, রসুনের স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর কমানো হয়েছে। পাশাপাশি আমদানি করা চিনি রসুনের অগ্রিম আয়কর কমানো হয়েছে। এবারের বাজেটে বিদ্যুতের সঞ্চালন বিতরণ ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে ৩০ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে জ্বালানি খাতে দেশীয় গ্যাস আহরণের গুরুত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

বাজেটে বৈশ্বিক মহামারী কভিড-১৯ মোকাবেলায় পরীক্ষা কিট আমদানি, উৎপাদন ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ঢালাওভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। বাজেটে মোবাইল সেবার ওপর কর বাড়ানো হয়েছে। বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যক্তিগত গাড়ি কার জিপের রেজিস্ট্রেশনে অগ্রিম আয়কর, চার্টার্ড বিমান হেলিকপ্টার ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রসাধনসামগ্রীর ওপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থ পাচার ঠেকাতে আয়কর অধ্যাদেশে একটি নতুন ধারা সংযোজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে পাচারকৃত অর্থের ওপর ৫০ শতাংশ হারে কর আরোপ করার কথা বলা হয়েছে। রফতানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাকসহ সব ধরনের রফতানি পণ্যের উৎসে কর অর্ধেক করার প্রস্তাব করা হয়েছে। শিক্ষা খাতকে এগিয়ে নিতে আসন্ন অর্থবছরে হাজার ২৮৭ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এবারের বাজেট প্রণয়নে বৈচিত্র্য নতুনত্ব দেখা গেছে। উচ্চাবিলাসী বাজেট বাস্তবায়নে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে সরকারকে। অতীতে দেখা গেছে এনবিআর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে খুব একটা সফল হয় না। ফলে রাজস্ব আয় কম। আমাদের জিডিপি যে হারে বাড়ছে, সে হারে কর আদায় হচ্ছে না। দেশের উচ্চবিত্ত শ্রেণীর মানুষ করযোগ্য আয় করে অথচ কর দেয় না। ঢালাওভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার পরও দেশের ইকোনমিক জোন হাইটেক পার্কগুলোয় কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ পাওয়া যায় না।

বাজেট বড় হওয়া সমস্যা নয়, যদি এর যথাযথ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এডিপি বাস্তবায়নের চিত্র মোটেও সুখকর নয়। প্রশাসনিক অদক্ষতা, দুর্নীতি, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা এর পেছনে অন্যতম কারণ। আমাদের দেশে বছরের প্রায় আট-নয় মাস ঢিমেতালে চলে। বছরের শেষ সময়গুলোয় এসে তড়িঘড়ি দেখা যায়। ফলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে আমাদের কখনো পৌঁছানো সম্ভব হয় না। অবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন। বছরের প্রথম থেকে এডিপি বাস্তবায়নে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। একটি দেশের চলমান উন্নয়নের গতি ত্বরান্ব্বিত হয় যখন সে উন্নয়ন অংশগ্রহণমূলক সুষম হয় এবং উন্নয়নের সুফল সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। কিন্তু দুর্নীতি, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, স্বচ্ছতার অভাব, আয়বৈষম্য সম্পদের অসম বণ্টন আর জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতা স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব না হওয়ার কারণে জনগণ সরকারের উন্নয়নের সুফল থেকে দীর্ঘদিন থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। এজন্য আমাদের আমলাতান্ত্রিক জটিলতাসহ সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। সরকারের উন্নয়নের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় যেন পৌঁছে যায়, সেদিকে গভীর মনোনিবেশ করতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের দেশের জনশক্তি সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

দেশের প্রান্তিক কৃষক, দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের স্বার্থে গ্রামকে প্রাধান্য দিতে হবে। গ্রামীণ অর্থনীতি গড়ে তুলে গ্রামেই কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এতে শহরনির্ভরতা শহরে অভিগমন কমবে। এজন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার। কিন্তু এর যথাযথ বাস্তবায়ন লক্ষ করা যাচ্ছে না। ক্রমেই মানুষ অধিক শহরমুখী হচ্ছে। এক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নিতে হবে। কালক্ষেপণ করা যাবে না। কালক্ষেপণ আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করবে।

বৈদেশিক বিনিয়োগ ছাড়া একটি দেশের সুষম উন্নয়ন সম্ভব নয়। বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ স্থবিরতা লক্ষ করা গেছে। খাতে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ সন্তোষজনক নয়, বিদেশী বিনিয়োগ প্রবাহও খুব একটা বাড়ছে না। বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের কূটনৈতিক দক্ষতা আরো বাড়াতে হবে। দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আমলাতান্ত্রিক প্রতিবন্ধকতাসহ সব প্রতিবন্ধকতা দূর করা প্রয়োজন। বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ, সুষম উন্নয়ন, কর আদায়, বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানো, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়ানো নিশ্চিত না করতে পারলে বিনিয়োগ বাড়বে না। বিনিয়োগ না বাড়লে অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গতি হারাবে।

আমাদের দেশের ব্যাংক খাতে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি হচ্ছে বিদ্যমান চিত্র। এডিবির মতে, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা হলো উচ্চ খেলাপি ঋণ, নিম্ন মুনাফা, দুর্বল সুশাসন, ক্রমবর্ধমান মূলধন ঘাটতি, পরিচালনার অদক্ষতা অকার্যকর আইনি কাঠামো। ব্যাংক খাতের চরিত্র বদলাতে বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। খেলাপি ঋণ আদায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা প্রশংসনীয় নয়। খেলাপি ঋণ আদায়ে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যাতে সহজে কেউ ঋণখেলাপি হতে উৎসাহিত না হয়, আর্থিক খাত দেশের অর্থনীতি ঝুঁকিতে না পড়ে এবং আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। উচ্চ প্রবৃদ্ধি হার ধরে রাখতে এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা অত্যাবশকীয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য সামনে রেখে একুশ শতকের উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বাজেটে অধিক গুরুত্ব দেয়া উচিত। বিশ্ব শ্রমবাজারে কোন কোন বিষয়ে শ্রমিকদের চাহিদা আছে, সেটি যাচাই করে মানবসম্পদ তৈরি করার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। বিদেশের শ্রমবাজারে আমাদের শ্রমিকদের চাহিদা বাড়াতে দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে বর্তমান সরকারকে এখনই ভাবতে হবে। বিপুল পরিমাণ জনশক্তি কেবল মানবসম্পদে পরিণত হতে পারে সঠিক শিক্ষাগ্রহণের মধ্য দিয়ে। এক্ষেত্রে শিক্ষার যথাযথ পরিবেশ তথা মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে বেশ জোরালো পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। উন্নয়নের স্বার্থেই পরিকল্পিত মানসম্পন্ন শিক্ষা যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। তাছাড়া জনশক্তি দক্ষ হলে বৈদেশিক চাহিদা বাড়বে। জনশক্তি রফতানি করে আরো বেশি রেমিট্যান্স পাওয়া যাবে। বেকার সমস্যাও কমে আসবে। বিষয়ে কালক্ষেপণ আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করবে। এছাড়া আমাদের দেশের সম্ভাবনাময় পোশাক শিল্প, নির্মাণ খাত, তথ্যপ্রযুক্তি, হালকা প্রকৌশল, চামড়া পাদুকা শিল্প, জাহাজ নির্মাণ, ফার্মাসিউটিক্যালস প্লাস্টিক শিল্প খাতকে বাজেটে আরো বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি। এতে দেশের সম্ভাবনাময় শিল্প খাতের উৎপাদন রফতানি আয় বাড়বে।

 

মুনতাকিম আশরাফ: সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, এফবিসিসিআই

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন