যাত্রী চাহিদা না থাকায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটগুলোর টিকিট অবিক্রীতই থেকে যাচ্ছে। এ কারণে গতকাল থেকে আগামীকাল পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ রুটের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাটি। তবে এসব রুটে বেসরকারি এয়ারলাইনস প্রতিষ্ঠানগুলোর যাত্রী সংকট তেমন একটা নেই।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্রে জানা গেছে, যাত্রী না থাকায় গতকালের সব ফ্লাইট বাতিলের পাশাপাশি আজ ও আগামীকালের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এ তিনদিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুর রুটে প্রতিদিন চারটি করে ফ্লাইট পরিচালনার কথা ছিল বিমানের। এর আগে মঙ্গলবার ও বুধবারও সব ফ্লাইট বাতিলে বাধ্য হয়েছিল বিমান কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে যাত্রী সংকটের কারণে মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত মোট ২৩টি ফ্লাইট বাতিল করল বিমান।
বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়ায় দীর্ঘদিন ফ্লাইট বন্ধ ছিল। যাত্রীদের মধ্যে এখনো ভ্রমণ নিয়ে ভীতি কাজ করছে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কেউ ভ্রমণ করতে চাচ্ছেন না। এ কারণে অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই ফ্লাইট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বণিক বার্তাকে বলেন, যাত্রী সংকটের কারণে নিয়মিত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। তবে অভ্যন্তরীণ সব রুটেই চার্টার্ড ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে বিমান। ফ্যামিলি ট্রিপের জন্য শর্তসাপেক্ষে ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকায় প্রতিটি ফ্লাইট ভাড়া নেয়া যাবে।
এদিকে যাত্রী সংকটে বিমানের ফ্লাইট বাতিল হলেও নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে যাচ্ছে বেসরকারি উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস ও নভোএয়ার।
প্রসঙ্গত, কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব রোধে ২১ মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ আকাশপথে যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা দেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর গত ১ জুন থেকে সীমিত পরিসরে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের শর্তে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেটে আকাশপথে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয় বেবিচক।