যুক্তরাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ৪ হাজার ৫৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। এর আগে বুধবার ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আড়াই হাজারের বেশি মানুষ কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ওইদিন পর্যন্ত সেটিই ছিল রেকর্ড সর্বোচ্চ। এর পরদিনই দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে দুই হাজারেরও বেশি।
বর্তমানে দেশগুলোর মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যুর দিক দিয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, গতকালের আগ পর্যন্ত দেশটিতে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৭১ হাজার ৬২৫। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৩ হাজার ২৮৬ জনের।
দেশটিতে নভেল করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যায় এমন এক সময় এ উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে, যখন তিন দফায় লকডাউন শিথিলের মাধ্যমে অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুনরায় শুরুর পরিকল্পনা করছে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার। এ লক্ষ্যে হোয়াইট হাউজ এরই মধ্যে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে, যার শিরোনাম দেয়া হয়েছে ‘ওপেনিং আপ আমেরিকা অ্যাগেইন’।
হোয়াইট হাউজের এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতিটি অঙ্গরাজ্য নিজ নিজ অবস্থা অনুযায়ী তিন দফার এ গাইডলাইন বাস্তবায়ন করবে। কোনো অঙ্গরাজ্য এর প্রথম পর্যায়ে যাওয়ার আগে নিশ্চিত করতে হবে, এর আগে টানা দুই সপ্তাহ ধরে ওই অঙ্গরাজ্যে সংক্রমণের হার ক্রমান্বয়ে কমেছে। এ দফায় উপাসনালয়, রেস্তোরাঁ, খেলাধুলার ভেনু, জিম ও অন্যান্য স্থান খুলে দেয়া হবে। তবে সেখানে আসাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া এ সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কর্মীদের ঘরে থেকে কাজ করানোয় উৎসাহ দেয়া হবে। পাশাপাশি জনসাধারণের হাসপাতাল ও নার্সিং হোমে যাতায়াতের ওপরও নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে। দ্বিতীয় দফায় অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও খুলে দেয়া হবে। তৃতীয় দফায় কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে উৎসাহ দেয়া হবে।
এ বিষয়ে অঙ্গরাজ্যগুলোর গভর্নরদের সঙ্গে এক কনফারেন্স কলে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এ বিষয়ে আপনাদের নিজেদেরই নিজেদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা আপনাদের পাশে আছি।