আদালতের
নির্দেশনা মেনে গত রোববার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে ১ হাজার কোটি
টাকা দিয়েছে গ্রামীণফোন। বাকি আরো ১ হাজার কোটি টাকা পরিশোধে প্রতিষ্ঠানটিকে তিন
মাস সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গ্রামীণফোনের রিভিউ পিটিশনের রায়ে গতকাল প্রধান
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ এ নির্দেশ
দিয়েছেন।
আদালতে
গ্রামীণফোনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন ও মো. মেহেদী হাসান চৌধুরী। বিটিআরসির পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি
জেনারেল মাহবুবে আলম ও ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।
বিটিআরসিকে ১ হাজার টাকা পরিশোধের রসিদ গতকাল আদালতের সামনে উপস্থাপন করেন গ্রামীণফোনের আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন। বাকি ১ হাজার টাকা পরিশোধে তিনি ছয় মাস সময় চাইলে আদালত তিন মাসের সময় মঞ্জুর করেন।
মেহেদী
হাসান চৌধুরী জানান, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে রোববার ১
হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করেছে গ্রামীণফোন। বাকি ১ হাজার কোটি টাকা দিতে
গ্রামীণফোনকে তিন মাস সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। নিরীক্ষা পাওনা দাবি নিয়ে করা নিম্ন
আদালতের মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের দেয়া নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে
বলেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে গ্রামীণফোন যাতে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিতের কথা বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত।
বিটিআরসি
বলছে, নিরীক্ষা আপত্তিতে গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার
৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ ও আরেক সেলফোন অপারেটর রবি আজিয়াটার কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা
পাওনা রয়েছে সরকারের। গত বছরের ২৪ নভেম্বর বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির ১২ হাজার কোটি
টাকার মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা তিন মাসের মধ্যে বিটিআরসিকে পরিশোধ করতে সময় বেঁধে
দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এ আদেশের ওপর গত ২৬ জানুয়ারি রিভিউ পিটিশন জমা দেয়
গ্রামীণফোন। বৃহস্পতিবার এ আবেদনের শুনানি শেষে ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১ হাজার কোটি
টাকা দিতে গ্রামীণফোনকে নির্দেশ দেন আদালত। এ নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামীণফোন
রোববার অর্থ জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। গতকাল এ রিভিউ আবেদনের রায় দেয়া হয়।